পাবনাবাসীর প্রাণের দাবি আরিচা কাজিরহাটকে সংযুক্ত করে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের দাবিতে পাবনায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মানববন্ধন। পাবনা জেলা উন্নয়ন ফোরামের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য এ মানববন্ধন দেশের সবচেয়ে বড় মানববন্ধন হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
রোববার পাবনা জেলা উন্নয়ন ফোরাম পাবনা সার্কিট হাউজে এ বৃহৎ মানববন্ধন বিষয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় পাবনার উন্নয়নের পক্ষে জেলার সর্বস্তরের মানুষকে অংশগ্রহণ করতে আহ্বান জানানো হয়।
পাবনা উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়া জানান, ২৫ জানুয়ারি সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। কাজীরহাট, বাঁধেরহাট, আমিনপুর, কাশীনাথপুর, বিরামপুর, দুলাই, চিনাখড়া, বনগ্রাম, মাধপুর, আতাইকুলা, গংগারামপুর, পুষ্পপাড়া, ক্যাডেট কলেজ, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাস টার্মিনাল, মুজাহিদ ক্লাব, ডিসি অফিস, প্রেসক্লাব, এডওয়ার্ড কলেজ, মালিগাছা, টেবুনিয়া, দাশুরিয়া, ঈশ্বরদী রেলস্টেশন পর্যন্ত ৮১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে হাতে হাত রেখে এ মানববন্ধন পালন করা হবে।
পাবনা জেলা উন্নয়ন ফোরাম নেতৃবৃন্দরা জানান, ১৯৬৪ সালে নগরবাড়ী আরিচারুটে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকেই বাণিজ্যিকভাবে এ অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হয়ে ওঠে পাবনা। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু হওয়ার পর নগরবাড়ি টু পাটুয়িরা ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর অর্থনৈতিকভাবে ঐতিহ্য হারিয়ে ভেঙে পড়ে এ জেলা। পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের এ দাবি বাস্তবায়ন হলে রাজধানীর সাথে যাতায়াতে ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। পাবনায় নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠবে। উত্তরবঙ্গের সাথে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
সভায় পাবনা উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.কে হাবিবুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়ার পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোঃ কামিল হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাওয়াল বিশ্বাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামসুন্নাহার রেখা, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ উদ্দিন প্রধান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মামুন, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাবিব, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পাদক ফারুক হোসেনসহ জেলার সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের নেতাকর্মী।
তারা জানান, যমুনা সেতুর ওপরে ক্রমাগত চাপ কমাতে এবং উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সাথে রাজধানীর স্বল্প সময়ে যাতায়াত নিশ্চিত করতে ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পাবনাকে সংযুক্ত করে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।