ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে প্রতারণা বাড়ছেই। এমতাবস্থায় নাগরিকদের ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক থেকে বাংলাদেশিদের বাঁচাতে ফেসবুকে বাংলাদেশ পুলিশের পেজ থেকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। এই পোস্টের মাধ্যমে, জনগণকে সাবধান করাই ছিল পুলিশের লক্ষ্য। যে কোন ধরনের প্রতারণা রোধে বাংলাদেশ পুলিশ সদা সক্রিয় জানিয়ে সোমবার একটি ছবিতে কিছু নির্দেশনা দেয় পুলিশ।
ছবিতে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সন্দেহভাজন প্রতারকদের চিহ্নিত করতে এবং সংগঠিত প্রতারণার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতারকদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশের মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন ইউনিট। তারা জানান, প্রতিনিয়ত আইনের আওতায় আনা হচ্ছে এ ধরনের প্রতারকদের। তবে শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে এ ধরনের অপরাধ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা খুব সহজ নয়। এক্ষেত্রে, সামাজিক সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করতে পারে। তাই, পুলিশ এ ধরণের প্রতারণা এড়াতে কিছু সাধারণ পরামর্শ দেয়।
পুলিশ তাদের ঐ বিবৃতিতে বলেন, কখনো হয়তো আপনার কোন বন্ধু বা নিকট আত্মীয়ের ইয়াহু, জি-মেইল, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোটস্এ্যাপ, ভাইবার, ইমো বা অন্য যে কোন একাউন্ট হ্যাক হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে হ্যাকার ব্যক্তিটি হ্যাক হওয়া একাউন্ট থেকে আপনার বন্ধু বা আত্মীয় সেজে আপনাকে মেসেজ দিয়ে জানাবে যে সে কোন মারাত্মক বিপদে/সমস্যায় আছে। তার জরুরি কিছু টাকা প্রয়োজন। আপনাকে অনুরোধ করবে বিকাশে কিছু টাকা পাঠাতে। আপনি হয়তো আপনার ঐ বন্ধু বা আত্মীয়ের বিপদে/সমস্যার কথা ভেবে কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই তাকে টাকা পাঠিয়ে দিলেন। পরে জানতে পারলেন যে আসলে আপনার সেই বন্ধু বা আত্মীয় আপনার নিকট কোন টাকা চাননি। তার একাউন্ট হ্যাক করে অন্য কেউ এই কাজ করেছে।
পুলিশের পরামর্শ:
এ ধরনের মেসেজ আসলে আপনার যদি বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হয়, তাহলে প্রথমে আপনার ঐ বন্ধু বা আত্মীয়কে কল করুন। সে কল রিসিভ না করলে বা তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে এমন কাউকে কল করুন যিনি হয়তো তার বর্তমান অবস্থান এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনাকে তথ্য দিতে পারবেন। এ ধরনের পরিস্থিতিতে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে আর্থিক লেনদেনে না জড়ানোই ভালো।