তুরস্কের এক শ্রেণির সশস্ত্র মানবহীন আকাশযান (ইউএভি) তিন লাখ ঘণ্টা আকাশে উড়ে রেকর্ড করেছে। এ ড্রোনের উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ‘বেরাকতার’-এর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সোমবার এ তথ্য জানান।
সেলকুক বেরাকতার টুইট করেন, ইউফ্রেতিস শিল্ড, অলিভ ব্রাঞ্চ ও স্প্রিং শিল্ডের মতো কয়েকটি তুর্কি সামরিক অভিযানে ব্যবহৃত হয় ‘বেরাকতার টিবি-টু’ নামের এ ইউএভি।
তিন লাখ ঘণ্টা ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে এ ড্রোন তুরস্কের বিমান চলাচলের ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছে।
২০১৪ সালে তুরস্কের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হয় ‘বেরাকতার টিবি-টু’। এটি বর্তমানে তুরস্ক, ইউক্রেন, কাতার ও আজারবাইজানে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক নাগর্নো-কারাবাখ সঙ্ঘাতে আজারবাইজানকে সমর্থন করার কারণে নির্দিষ্ট কিছু বিদেশি সরবরাহকারী নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন শুরু করায় ড্রোনটি অধিকাংশ স্থানীয় সূত্র থেকে তৈরি হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গবেষণা ও উন্নয়নে তুরস্কের প্রতিরক্ষা ও বিমান কোম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করে। উৎপাদন ও রপ্তানি ক্ষেত্রে সাফল্যও উল্লেখ করার মতো।
নিজস্ব প্রযুক্তিতে ইউএভি উৎপাদন করা বিশ্বের ১০টি দেশের মধ্যে রয়েছে তুরস্কের নাম। গত বছর তুর্কি প্রতিরক্ষা কোম্পানি ‘বেকার’ একাই ৩৬০ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের অ্যাভিয়েশন সিস্টেম রপ্তানি করে।
তুরস্ক থেকে এ ড্রোন কেনা দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আজারবাইজান। এতদিন বিষয়টি প্রকাশ্যে না এলেও ২০২০ সালের নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধের পর সেটি আর গোপন থাকেনি। এ ড্রোন দিয়ে ওই যুদ্ধে আর্মেনিয়ার দখল থেকে অনেক এলাকা মুক্ত করেছে আজারবাইজান। এ বেরাকতার টিবি-টু ড্রোন সবার আগে পেয়েছে কাতার। কাতার সশস্ত্র বাহিনীর কাছে এ রকম ছয়টি ড্রোন আছে বলে খবরে বলা হয়। এ ধরনের তুর্কি ড্রোন রয়েছে ইউক্রেনেও।