পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ। আর এই চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। বিজ্ঞানীরাও লেগে রয়েছেন এই উপগ্রহটির সুলুকসন্ধানের কাজে। এরইমধ্যে চমকে দেওয়ার মতো খবর চাঁদের পৃষ্ঠদেশের নিচেই রয়েছে পানি। সামান্য গভীরে গেলেই এই পানি পাওয়া সম্ভব।
মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার নতুন এক গবেষণায় এমন কথা বলা হয়েছে।
চাঁদে প্রায় সব সময়ই ছোট ছোট উল্কাপিণ্ড আঘাত হানে। এর ফলে চাঁদের আবহাওয়ায় অল্প সময়ের জন্য জলীয়বাষ্প বের হতে দেখা গেছে।
ছোট ছোট পাথর যখন চাঁদে আঘাত হানে তখন তা পৃষ্ঠদেশের আবরণকে সরিয়ে ফেলে এবং সেই আঘাত পৃষ্ঠদেশের নিচে জলীয় স্তরে পানি অবমুক্ত করে।
নতুন এই আবিস্কার পুরনো একটি হাইপোথিসিসের পক্ষে সমর্থন যোগালো। ওই হাইপোথিসিসে মনে করা হতো, চাঁদের পৃষ্ঠদেশের কয়েক মিটার নিচে প্রাচীন জলাধার রয়েছে।
নাসার পাঠানো যান ‘লুনার অ্যাটমস্ফিয়ার অ্যান্ড ডাস্ট এনভায়রনমেন্ট এক্সপ্লোরার (ল্যাডি) ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদ ঘিরে পরিভ্রমণ করে পানি সংক্রান্ত এসব তথ্য সংগ্রহ করেছে।
নাসার বিজ্ঞানী গৌতম চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘লুনার ফ্লাশলাইট নামে নতুন একটি যন্ত্র বানানো হচ্ছে। সেটাও নাসার অ্যাডভান্সড এক্সপ্লোরেশান সিস্টেম (এইএস)-এর অংশ হিসেবে চাঁদের মাটির নীচে থাকা জলের খোঁজ-খবর নেবে। উল্কার মতোই কৃত্রিমভাবে চাঁদে আঘাত হানার কথাও ভাবা হয়েছে। সেই অভিঘাতের ফলে চাঁদের মাটির নীচ থেকে যে জলের অণু ও হাইড্রোক্সিল আয়ন বেরিয়ে আসবে, তার পরিমাণ মাপা হবে।’
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার-জিওসায়েন্সে’ -এ আবিষ্কারের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।