এক এক সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির মার্কেটের ট্রেন্ড এক এক রকমের থাকে। বর্তমানে প্রযুক্তি বিশ্বের ট্রেন্ড টপিকই হচ্ছে ফাইভজি। সকল মেজর প্লেয়াররা তাদের ডিভাইজে ফাইভজি সাপোর্ট প্রদান করা নিয়ে যখন ব্যস্ত, অ্যাপেলকে সেখানে ফাইভজি নিয়ে দুঃস্বপ্নে দিন কাটাতে হচ্ছে। কিছুদিন আগের অবস্থা থেকে ধারণা করা হচ্ছিল, অ্যাপেলের ফাইভজি সমর্থিত ফোন ২০২১ এর আগে আনা সম্ভব হবে না।
যেহেতু অ্যাপেলের মেজর টেক সাপ্লায়ার কোয়ালকমের সঙ্গে তাদের আইনি ঝামেলা চলছে। কিন্তু হঠাত্ করেই ব্যাপারগুলো বিস্ময়কর রূপ ধারণ করেছে, আর হতে পারে ২০২০ সালের মধ্যেই ‘আইফোন ফাইভজি’র দেখা মিলবে। অ্যাপেল এবং কোয়ালকম একে অপরকে নানান কারণে আদালতে অভিযুক্ত করেছে। অ্যাপেলের অভিযোগের মধ্যে একটি হচ্ছে- কোয়ালকম বিভিন্ন পার্টস-এর জন্য তাদের অধিক চার্জ করেছে এবং কোয়ালকম অ্যাপেলকে চুক্তিপত্র লঙ্ঘন করার দায়ে অভিযুক্ত করেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে- কোয়ালকম আর অ্যাপেলের জন্য ৫জি চিপ সরবরাহ করবে না।
ফলে অ্যাপেলকে নিরুপায় হয়েই আলাদা ফাইভজি চিপ সাপ্লায়ারের উপর নির্ভর হতে হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে অনুমান করা যাচ্ছিল, তাঁরা ইন্টেল থেকে আইফোনের ফাইভজি চিপ সরবরাহ করবে। যদিও হুয়াওয়ে অ্যাপেলকে ফাইভজি চিপ নিতে খোলা আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কিন্তু ইন্টেল ফাইভজি চিপ তৈরি করার ডেডলাইন মিস করতে পারে। মানে ২০২১ সালের পূর্বে হয়ত আর আইফোন ফাইভজি মার্কেটে দেখতে পাওয়া যেত না। এদিকে রিসেন্ট নিউজ অনুসারে ইনটেল স্মার্টফোনের জন্য ফাইভজি মডেম তৈরি করবে না, তাঁরা নেটওয়ার্ক ইনফ্রাসট্রাকচার-এ ফোকাস সরিয়ে নিচ্ছে।
কিন্তু অবশেষে অ্যাপেল হয়ত আশার আলো দেখছে, ।কেননা রিসেন্টলি অ্যাপেল এবং কোয়ালকম হয়ত একে অপরের উপর থেকে আদালতে অভিযোগ সরিয়ে নেবে, ফলে হতে পারে কোয়ালকম আবার অ্যাপলের জন্য ফাইভজি চিপসেট তৈরি করতে শুরু করবে। আইফোন ইউজারদের জন্য ব্যাপারটি সত্যিই খুশির হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। তাহলে ২০২০ সালের মধ্যেই হয়তো আইফোন ফাইভজি দেখা যাবে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো কিছু পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।