২০২০ সালে শুরু হওয়া করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন আরেক ভাইরাসের খোঁজ দিলেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৫০ হাজার বছর পর জেগে উঠছে প্রাণঘাতি ভাইরাস জম্বি। আর এর নেপথ্যে রয়েছে মানুষের বড় ভুল।
২০২২ সালে বরফ গলে যাওয়ায় পর সাইবেরিয়ায় বেশ কয়েক ধরনের জম্বি ভাইরাস পাওয়া যায়। ফের এই ভাইরাস নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর বলা হচ্ছে জম্বি ভাইরাসকে।
রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। হাজার বছর আগে রাশিয়ার একটি হ্রদে এই বিপজ্জনক ভাইরাসটি হিমায়িত অবস্থায় থাকলেও এখনও এটি জীবিত রয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। প্রায় ৫০ হাজার বছর পর আবার জীবিত হচ্ছে জম্বি ভাইরাস। বিজ্ঞানীরা গত দশ বছর ধরে এ নিয়ে গবেষণা করছেন। এই ভাইরাসটি আক্স-মারসেইল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের ইমেরিটাস অধ্যাপক জ্যঁ মিশেল ক্লেভেরি আবিষ্কার করেন।
বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে গিয়ে দেখেন, এটি এমন একটি ভাইরাস, যা যেকোনো অবস্থায় বেঁচে থাকে এবং মানুষের জন্য বিপজ্জনক। বর্তমানে এই ভাইরাস থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার কোনো ওষুধ নেই। তবে এটি বিশ্বব্যাপী করোনার থেকেও ভয়াবহ আকারে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে বহু বছর ধরে সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের মতে, বিশ্বে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে রাশিয়া ও সাইবেরিয়ার বরফ গলে গেলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। জম্বি ভাইরাস এতটাই বিপজ্জনক যে, এটি ছোট কোষের জীবকেও সংক্রমিত করতে পারবে। বিজ্ঞানীদের একটি দল চলতি বছরের জুলাইয়ে এ বিষয়ে তাদের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে বিশ্বের অনেক দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়তে পারে জম্বি ভাইরাসের কারণে।