আগামী দুই বছরের মধ্যে গ্রাহকদের আটকে যাওয়া সব টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ই-কমার্স সাইট ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। ইতোমধ্যে টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (১৯ মে) ঢাকার কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তর কার্যালয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থ পরিশোধ বিষয়ে পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রাসেল।
তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে গ্রাহকরা কেনাকাটা শুরু করেছেন। আশা করছি ইভ্যালির কোনো গ্রাহক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না। যারা আমাদের কাছে টাকা পান, আমরা আমাদের মুনাফা থেকে ৫০ লাখ টাকা ইতোমধ্যে তাদের দিয়ে দিয়েছি।”
ইভ্যালি আরও শক্তিশালী হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আগের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে আমরা সকলের টাকা ফেরত দেব। ছয় মাসের ভেতর একটা বড় পরিবর্তন দেখতে পারবেন আপনারা। সকলের টাকা ফেরত দিতে আমাদের দুই বছর সময় লাগবে।”
ই-কমার্সে কেনাকাটার সময় সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, “একজন শিক্ষার্থী কীভাবে ১০০টি বাইক ওর্ডার করে? ১০০টা বাইক একজন শিক্ষার্থী নেবে, এটা সুস্থ ব্যবসা হতে পারে না।”
এ প্রসঙ্গে ইভ্যালির এমডি বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছিলাম একটা আইডি থেকে একটা বাইক অর্ডার করতে পারবে এমন সিস্টেম করতে। কিন্তু মানুষ একাধিক আইডি দিয়ে অতিরিক্ত অর্ডার দিয়েছে। এটা আমাদের চোখ এড়িয়ে গেছে। এটা নিয়ে আমরা সচেতন থাকব।”
সফিকুজ্জামান বলেন, “ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে গ্রাহকদের আটকে থাকা ৫৩৫ কোটির মধ্যে ৪০৭ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ১২৭ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এটার সমাপ্তি চাচ্ছেন। আমরাও আর ঝুলন্ত অবস্থা চাচ্ছি না। এজন্যই আজকে আমাদের বসা।”