স্মার্টফোন কেনার সময় যে বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় তা হচ্ছে, ফোনের চার্জিং। ফোনে চার্জ কতক্ষণ থাকবে তা দেখে নেওয়া খুবই জরুরি। কারণ, ফোন এখন শুধু কথা বলার জন্য নয়, ফোনে নানান কাজ করেন সবাই। যদি কোনো ফোনে মাত্র এক মিনিট চার্জ দিয়ে এক ঘণ্টা কথা বলা যায় তাহলে কেমন হয়?
এমনই একটি ফোন বাজারে এনেছে জনপ্রিয় স্মার্টফোন সংস্থা রিয়েলমি। রিয়েলমি সি৬৩ ফোনে পাবেন এই সুবিধা। রিয়েলমি সি সিরিজের এই ৪জি ফোনের দামও হাতের নাগালে। ফোনে রয়েছে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি। এছাড়াও রয়েছে ৬.৭ ইঞ্চির স্ক্রিন। অর্থাৎ শক্তিশালী ব্যাটারি এবং বড় সাইজের ডিসপ্লে।
সাধারণত যারা গেম খেলতে পছন্দ করেন তাদের জন্য স্মার্টফোনে বড় সাইজের ডিসপ্লে এবং দীর্ঘক্ষণ চার্জ ধরে রাখতে পারবে এমন শক্তিশালী ব্যাটারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর পাশাপাশি বলা হচ্ছে, রিয়েলমির এই ফোনে মাত্র এক মিনিট চার্জ দিলে ইউজাররা এক ঘণ্টার জন্য কল-টাইম সাপোর্ট পাবেন। অর্থাৎ এক মিনিট রিয়েলমি সি৬৩ ফোনে চার্জ দিলে ব্যাটারিতে যতটা চার্জ হবে তার সাহায্যে অনায়াসে এক ঘণ্টা ফোনে কথা বলা যাবে।
সেই সঙ্গে এইচডি প্লাস রেজোলিউশন যুক্ত ডিসপ্লে রয়েছে যার রিফ্রেশ রেট ৯০ হার্টজ। এছাড়াও রয়েছে ৪৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট। ডুয়াল রেয়ার ক্যামেরা ইউনিট রয়েছে ফোনে। সেখানে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেনসর রয়েছে। অর্থাৎ ভাল গুণমানের ছবিই উঠবে এই ফোনের ক্যামেরায়। ফোনে ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা সেনসর রয়েছে।
এই ফোন একটি ডাস্ট অ্যান্ড স্প্ল্যাশ রেজিসট্যান্ট ডিভাইস। অর্থাৎ পানি এবং ধুলাতেও সহজে নষ্ট হবে না। এছাড়া রিয়েলমি সি৬৩ ফোনে রয়েছে রেইনওয়াটার স্মার্ট টাচ-এই প্রযুক্তির সাপোর্ট। এই প্রযুক্তির সাহায্যে আর্দ্র আবহাওয়া কিংবা বৃষ্টির মরশুমে স্বাভাবিকভাবেই ব্যবহার করা যাবে এই ফোন।
৪জি ফোনের ৪ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি স্টোরেজ পাবেন ফোনে। একটি অক্টা-কোর ইউনিসোক টি৬১২ চিপসেট রয়েছে এই ফোনে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৪ জিবি র্যাম। এর পরিমাণ ভার্চুয়াল ভাবে ৮ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। ফোনের ব্যবহার না হওয়ার স্টোরেজের সাহায্যে র্যামের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব।
রিয়েলমি সি৬৩ ফোনটি লেদার ব্লু ও জেড গ্রিন এই দুই রঙে পাওয়া যাবে। ভারতে রিয়েলমি সি৬৩ ৪জি ফোনের ৪ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি স্টোরেজ যুক্ত ভ্যারিয়েন্টের দাম ৮ হাজার ৯৯৯। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার ৬৭১ টাকা। অনলাইনে কেনা যাবে সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট থেকে।