মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপলের প্রডাক্ট পোর্টফোলিওর গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ আইপ্যাড। যে কারণে টানা কয়েক বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি আইপ্যাড লাইনআপ হালনাগাদ করে চলেছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ‘টাইম ফ্লাইস’ শীর্ষক ইভেন্টে আইপ্যাডের নতুন সংস্করণ উন্মোচন করেছে অ্যাপল। ‘এ১৪ বায়োনিক’ চিপ চালিত ডিভাইসটিকে প্রতিষ্ঠানটির তৈরি এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী আইপ্যাড হিসেবে দাবি করা হয়েছে। অ্যাপলের নতুন আইপ্যাড এয়ার ডিভাইসের ১১টি ফিচার নিয়ে আজকের আয়োজন—
ডিজাইন ও ডিসপ্লে
আইপ্যাড এয়ারের ডিজাইনের ক্ষেত্রে বরাবরেই মতোই বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে অ্যাপল। তুলনামূলক হালকা ওজন ও স্লিম ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ইঞ্চির লিকুইড রেটিনা ডিসপ্লে। এর ডিসপ্লেতে রয়েছে অ্যান্টি রিফ্লেক্টিভ কোটিং ব্যবস্থা, যা দীর্ঘ সময় ডিভাইস ব্যবহার করলেও চোখের বিরক্তির কারণ হবে না।
অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ
অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ সুবিধার ওপর ভিত্তি করে আইপ্যাড এয়ারের দুটি সংস্করণ বাজারে মিলবে। এর একটিতে রয়েছে ৬৪ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ এবং অন্য সংস্করণটিতে রয়েছে ১২৮ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ সুবিধা।
চিপসেট
আইপ্যাড এয়ারের সর্বশেষ সংস্করণে অ্যাপলের তৈরি এ১৪ বায়োনিক চিপ ব্যবহার করা হয়েছে, যা ডিভাইসটিকে অ্যাপলের সবচেয়ে শক্তিশালী আইপ্যাড এয়ারে পরিণত করেছে। এ১৪ বায়োনিক চিপ আইপ্যাড এয়ারের সিপিইউ সক্ষমতা আগের সংস্করণের চেয়ে ৪০ শতাংশ এবং গ্রাফিকস সক্ষমতা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। অ্যাপলের দাবি, এ১৪ বায়োনিক চিপে একটি ১৬-কোর নিউরাল ইঞ্জিন যুক্ত রয়েছে, যা আগের সংস্করণের চেয়ে দুই দ্রুতগতির এবং প্রতি সেকেন্ডে ১১ ট্রিলিয়ন কার্যক্রমে পারফর্ম করতে সক্ষম।
নতুন আইপ্যাড এয়ার সিলভার, স্পেস গ্রে, রোজ গোল্ড, গ্রিন এবং স্কাই ব্লু রঙে বৈশ্বিক বাজারে পাওয়া যাবে। ডিভাইসটিকে সবচেয়ে কালারফুল আইপ্যাড এয়ার দাবি করা হচ্ছে।
সরবরাহ
গত ১৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হলেও ডিভাইসটির সরবরাহ শুরু হবে আগামী মাস থেকে।
ইউএসবি-সি পোর্ট
আইপ্যাড এয়ারে এখন ইউএসবি-সি পোর্ট আনা হয়েছে, যা প্রতি সেকেন্ডে ৫ গিগাবাইট ডাটা স্থানান্তরে সক্ষম। ডিভাইসটির ইউএসবি-সি পোর্ট আগের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুতগতির। এছাড়াও ডিভাইসটিতে সংযোগ দেয়া দুটি ক্যামেরা, হার্ড ড্রাইভ এবং ফোরকে রেজল্যুশনের মনিটর।
ক্যামেরা
আইপ্যাড এয়ারে ৭ মেগাপিক্সেলের ফেসটাইম এইচডি ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে, যা অনেকটা আইপ্যাড প্রোর রিয়ার ক্যামেরা মানের।
কি-বোর্ড
আইপ্যাড এয়ার ম্যাজিক কি-বোর্ড ও স্মার্ট কি-বোর্ড ফোলিওর পাশাপাশি অ্যাপল পেন্সিল সমর্থন করবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া