বাজারে এসে গেছে পোকোর নতুন স্মার্টফোন পোকো সি ৩ । সম্প্রতি সময়ে এটি বাজারে লঞ্চ করা হয়েছে। এবং আপনি জেনে অবাক হবেন পোকো এর পূর্বে এই ফোনের চেয়ে কম দামে কোন ফোন বাজারে আনেনি৷
তাহলে এই আর্টিকেলের জেনে নেওয়া যাক এই ফোনটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং একটি ছোট্ট রিভিউ।
ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি দিয়ে শুরু করা যাক!
ফোনটি ডিজাইন বাজেট অনুপাতে বেশ ভালই ছিল৷ এই ফোনের পেছনে দেওয়া হয়েছে প্লাস্টিক ফিল্ড৷ আপাতত আমরা নীল এবং নেভিব্লু এর সংমিশ্রণে একটা রংয়ের ফোন দেখেছি৷ ফোনটি হাতে নিয়ে খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়৷ কারণ এতে খুব সুন্দর ভাবে ওয়েট ডিসট্রিবিউশন করা হয়েছে৷ ফোনের সাইজ টাও খুব একটা বড় নয়। আর ফোনটা খুব একটা মোটা নয় ,স্লিম হবার কারণে খুব সহজেই হাতের সাথে খাপ খাওয়ানো যায়।
হাতে নিয়ে তেমন প্রিমিয়াম ফিল হবে না তবে তার কাছাকাছি একটা ফিলিংস পাবেন৷
ফোনের পিছনের দিকে রয়েছে একটি ক্যামেরা সেটআপ যার নিচে লেখা রয়েছে POKO
আর এই ফোনটার পোর্ট এবং বাটন বাকি আর দশটা ফোনের মত করেই তৈরি করা হয়েছে। উপরের দিকে রয়েছে ২.৫ এমএম এ্যারফোন জাক। নিচে থাকছে মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট এবং প্রাইমারি স্পিকার।
এবার কথা বলা যাক ফোনটির ডিসপ্লেতে ব্যাপারে৷
এই ফোনের ডিসপ্লে হিসেবে রয়েছে ৬.৪৩ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে । বোঝাই যাচ্ছে এই বাজেটের ফোনের ডিসপ্লে আইপিএস এলসিডি হবে । এটাই স্বাভাবিক! যদিও ফোনটির রেজুলেশন এইচডি প্লাস নয়৷
শার্পনেস এর খুব একটা ঘাটতি রয়েছে বলে মনে হয় না৷ খুব একটা ব্রাইটনেস নেই । তবে সানলাইট এ চালিয়ে নেওয়ার মতো৷ ডিসপ্লে টাচ রেসপন্স মোটামুটি ভালই ছিল । এবং এই ডিসপ্লেকে প্রটেকশন করছে পান্ডা গ্লাস৷ তবে অবশ্যই এর সাথে একটি গ্লাস প্রোটেক্টর ব্যবহার করতে পারেন৷
এই ফোনের ক্যামেরা হিসেবে থাকছে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ৷ যার প্রাইমারি ক্যামেরা ১৩ মেগাপিক্সেলের । এবং তার সাথে দুই মেগাপিক্সেলের আরো ২টি ক্যামেরা থাকবে৷ যার মধ্যে একটি মাইক্রো এবং অপরটি ডেপথ৷ যদিও এটার ক্যামেরা সেটআপ দেখতে অনেকটাই কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ এর মত। কারণ এখানে একটি এলইডি ফ্ল্যাশ লাইট রয়েছে৷
এটি একটি বাজেট ফোন৷ সুতরাং ক্যামেরা নিয়ে বলার কিছু নেই৷ তবে তার পরেও ক্যামেরা পারফরম্যান্স ফুল ডেলাইট যথেষ্ট ভাল ছিল। তবে ডেলাইট যত কমে আসছিল, ক্যামেরার পারফরম্যান্সে ও ধীরে ধীরে দুর্বলতা লক্ষ করা যাচ্ছিল৷ কারণ এখানে ভালো মানের অ্যাপারচার দেওয়া হয়নি৷ একদম ন্যাচারাল কালার এর ছবি তুলতে পারে৷ এবং অটোফোকাস সিস্টেম টা দারুন ছিল৷
ফোনের সামনে অর্থাৎ ফ্রন্ট ক্যামেরা হিসেবে দেওয়া হয়েছে ফাইভ মেগাপিক্সেল এর একটি সেলফি ক্যামেরা৷ ছবিগুলো মোটামুটি বেশ ভালোই ছিলো৷ শার্পনেসে একটু ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়৷ তবে মানিয়ে নেওয়ার মতো৷ একদম রেডিমেড সোশ্যাল মিডিয়া ফটো সেট আপ না হলেও তার কাছাকাছি বলাই চলে৷
প্রপার ডেলাইট এটা যথেষ্ট ভালো ছবি তুলতে পারে৷ তবে প্রাইমারি ক্যামেরার মত এখানেও ডেলাইট এর ঘাটতি দেখা দিলে পারফরম্যান্সের দুর্বলতা লক্ষ্য করা যায়৷
কোনটি র্যাম হিসেবে থাকছে ৩ জিবি র্যাম এবং রোম হিসেবে থাকছে ৩২ জিবি রোম৷
বাংলাদেশি মূল্যে এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১১০০০০ টাকা।