বিশাল বড় ডিসপ্লে, ভালো মানের ক্যামেরা এবং সুন্দর গেমিং এক্সপেরিয়েন্স সমৃদ্ধ একটি ফোন ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে আশা করাটা অযৌক্তিক৷ এবং তার সাথে যদি থাকে লং লাস্টিং ব্যাটারি।
তবে এই অযৌক্তিক চিন্তা ধারাকে বাস্তবে পরিণত করেছে টেকনো স্পার্ক সিক্স । সম্প্রতি সময়ে তারা তাদের এই স্মার্টফোনটি বাজারে লঞ্চ করেছে।
এবং এখন দেখার পালা টেকনো তাদের নতুন স্মার্টফোন দিয়ে ব্যবহারকারীদের মন কতটুকু জয় করতে পারল৷
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ফোনটি সম্পর্কে একটি ছোট্ট রিভিউ এবং স্পেসিফিকেশন৷
এই আর্টিকেলে মূলত পারফরম্যান্স ক্যামেরা এবং ডিজাইন এ আলোচনা করা হয়েছে৷ পরবর্তী আর্টিকেলে আরো বিস্তারিত ভাবে জানানো হবে ।
শুরুতেই বলে রাখতে চাই, ফোনটির সাথে হয়েছে ১০০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট এবং তার সাথে ১৩ মাসের গ্যারান্টি।
তাহলে সর্বপ্রথম আনবক্সিং দিয়ে শুরু করা যাক!
আনবক্সিং করলেই পেয়ে যাবেন
*কাঙ্খিত স্মার্টফোন
*গাইডলাইন
*একটি ব্যাক পার্ট
*তার সাথে একটি চার্জার ইউএসবি ক্যাবল
*এবং হেডফোন
এবার কথা বলা যাক ফোনটির বিল্ড কোয়ালিটি এবং ডিজাইন নিয়ে!
ফোনটি সম্পূর্ণই প্লাস্টিক বডি৷ এটি মূলত নীল এবং কালো এই দুইটি রঙে পাওয়া যাবে৷ পেছনের দিকে এক ধরনের গ্লোরিয়াস ফিনিশিং দেয়া হয়েছে৷ দেখতেও বেশ সুন্দর লাগে । পেছনের দিকে দাগ পড়ার খুব একটা সম্ভাবনা তবে । সর্তকতা অবলম্বন করা ভালো৷ সেইজন্য বক্সের ভেতরে দেওয়া কভার টি ব্যবহার করতে পারেন৷
ফোনটাতে রেগুলার পোর্ট এবং বাটন দেয়া হয়েছে যা৷ ২০২০ সালের অধিকাংশ ফোনগুলোতে দেয়া হয়েছে৷ রয়েছে একটি ডেডিকেট সিম কার্ড স্লট।
নিচের দিকে রয়েছে হেডফোন জ্যাক ও চার্জার পোর্ট৷ যদিও এটি একটি মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট তবে এই বাজেটের অন্য ফোন করতে কিন্তু আমরা টাইপ সি পোর্ট লক্ষ করেছি৷
পেছনের দিকে সিকিউরিটি সিস্টেম হিসেবে দেয়া হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর । যেটার পজিশন যথেষ্ট ঠিকঠাক রিচ করতে পারলে বেশ ভালই কাজ করছিল৷ তার সাথে দেখা হয়েছে ফেস আনলক সিস্টেম যেটি প্রোপার লাইট এ বেশ ভালো কাজ করে তবে । স্বল্প আলোতে আর্টিফিশিয়াল লাইট ব্যবহার করে মুখমন্ডল খোঁজার চেষ্টা করে৷
এবার তাহলে কথা বলা যাক পারফরম্যান্স নিয়ে!
এই ফোনটি মূলত বাংলাদেশকে একটি ভেরিয়েন্ট এ লঞ্চ করা হয়েছে৷ এবং সেটি হচ্ছে ১২৮ জিবি রোম এবং ৪ জিবি র্যাম৷
প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি ৭০৷
অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড টেন।
খুব ভালো মানের একটি প্রসেসর দেয়া হয়েছে সেটা বলাই বাহুল্য৷ এবং তার সাথে দেওয়া হয়েছে একটি ব্যালেন্সড স্টোরেজ৷ বাজেট অনুযায়ী এই ফোনটিতে যথেষ্ট ভালো প্রসেসর দেয়া হয়েছে৷ এই প্রসেসর এর নেগেটিভ রিভিউ দেয়ার মত কিছুই নেই৷ শুধু বাজেট ফোনে নয়, আরো অনেক হাই বাজেটের ফোন রয়েছে যেগুলোতে এই প্রসেসর দেয়া হয়েছে এবং যথেষ্ট ভাল কাজ করছিল।
প্রসেসরটি রেগুলার কাজগুলো খুব ভালোভাবে হ্যান্ডেল করতে পারছিল৷ এবং তার সাথে মাল্টি টাচ পারফরম্যান্স অসাধারণ ছিল৷
খুব সহজেই পাবজি মোবাইল গেম এইচডি ফ্রেম রেট এ খেলতে পারবেন৷ এখানে যে প্রসেসরটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি দিয়ে গেমিং এক্সপেরিয়েন্স অন্য ফোনগুলোতে এভারেজ লেভেলের হয়৷ তবে এখানে খুব সুন্দরভাবে র্যাম ব্যালেন্সড হবার কারণে পারফরম্যান্স দুর্দান্ত বলা চলে৷
এবার কথা বলা যায় ক্যামেরার ব্যাপারে।
ফোনটির পেছনে হয়েছে কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ৷ যার প্রাইমারি ক্যামেরা ১৩ মেগাপিক্সেলের৷ এবং তার সাথে আরও দেয়া হয়েছে টু মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো এবং টু মেগাপিক্সেলের ডেপথ৷
প্রাইমারি ক্যামেরাটির দিয়ে প্রোপার লাইটে বেশ ভালো ছবি তোলা যায়। শার্পনেসে কোন ধরনের ঘাটতি নেই৷ তবে আমার কাছে মনে হয়েছে সাটার টা একটু স্লো । তবে সেটা বড় ব্যাপার নয়৷ এটা আপনার ছবির ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না৷ যদি আপনি ফ্ল্যাশ অফ করে ছবি তোলেন তাহলে কোনো সমস্যা হবার কথা নয়।
স্বল্প আলোতে ছবির কোয়ালিটি একটু খারাপ আসতে পারে৷ সে জন্য রয়েছে নাইট মোড সিস্টেম৷
বাংলাদেশি মূল্যের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৯৯০ টাকা৷