কমদামে সেরা ফোন একটি ফোন নিয়ে চলে ওয়ালটন । ফোনটির মডেল হল ওয়ালটনের প্রিমো আরএম৪ । তুলনামূলক বড় পর্দা, শক্তিশালী ব্যাটারি ও ট্রিপল ক্যামেরার ‘প্রিমো আরএমফোর’ মডেলের ডিভাইসটির দাম ১০ হাজার ৫৯৯ টাকা।
তাহলে চলুন দেখে নেয় ফোনের কি কি ফিচার, কি কি আছে এই ফোনে এবং আপনি কেন ১০,৫৯৯ টাকা দিয়ে ফোনটি কিনবেন ?
আকর্ষণীয় ডিজাইনের বাজেট সাশ্রয়ী ওয়ালটন প্রিমো আরএম ৪ ডিভাইসের দাম, ফিচার ও স্পেসিফিকেশন —
কাঠামো : প্লাস্টিকের কাঠামোর ডিভাইসটির বডি ডাইমেনশন ১৬৭×৭৭.৬×১০.১ এমএম
নেটওয়ার্ক সমর্থন : ২জি / ৩জি / ৪জি / এলটিই
সিম : ডুয়াল ন্যানো
ডিসপ্লে : ৬ দশমিক ৫ আইপিএস এলসিডি ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন
ডিসপ্লে রেজল্যুশন : ১০৮০×২৩৪০ পিক্সেল
ওএস : অ্যান্ড্রয়েড ১০
চিপসেট : মিডিয়াটেক হেলিও এ২৫
মেমোরি কার্ড : মাইক্রোএসডি এক্সসি
অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ : ৪ গিগাবাইট র্যাম সংস্করণে ৬৪
রিয়ার ক্যামেরা : ১৩,৫,০.৩ মেগাপিক্সেল
ফ্রন্ট ক্যামেরা : ৮ মেগাপিক্সেল
কানেক্টিভিটি : ব্লুটুথ, জিপিএস, এনএফসি, রেডিও, ইউএসবি
ব্যাটারি : নন-রিমুভেবল লিথিয়াম-পলিমার ৫৯৫০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার
চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক
প্রথমে র্যাম হাতে নিয়ে যে বিষয়টি আপনারা লক্ষ করবেন সেটি হলো ফোনটি অনেক বড় এর কারণ হলো ফোনটির ৬ দশমিক ৫ আইপিএস এলসিডি ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন আর এর বিশাল ব্যাটারী । পেছনে ক্লাসিক ওয়ালটন ডিজাইন এর ট্রিপল ক্যামেরা সেটাপের সাথে থাকছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। ডানদিকে থাকছে পাওয়ার বাটন এবং ভলিউম বাটন। বামদিকে সিম কার্ড থাকছে তবে থাকছে ৩.৫mm ইয়ারফোন পোর্ট এবং নিচে থাকছে মাইক্রো ইউএসবি চার্জিং পোর্ট আর দুই পাশের স্পিকার এর মধ্যে শুধুমাত্র একটা স্পিকার আরেকটা প্রাইমারি মাইক্রোফোন। চারিদিক ঘুরেফিরে সামনে আসলে দেখবেন ৬ দশমিক ৫ এর এলসিডি ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন । তবে দাম অনুযায়ী ডিসপ্লে এর টাচ রেসপন্স মোটামুটি কাজ চালানোর মতো। পাশাপাশি স্পিকার কোয়ালিটি অনেক ভালো।
হার্ডওয়ার সেকশনে চিপসেট হিসেবে পাচ্ছেন হেলিও এ২৫ যা একটি অক্ট-কোর প্রসেসর সাথে জিপিইউ হিসেবে পাচ্ছেন powervr GE8320। আরো থাকছে ৪জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি এর EAMC 5.1 storage।
এবার আমার ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলবো
এক কথায় বললে হ্যাঁ, অনেক ভালো চালানোর মতো একটি ফোন অতিরিক্ত র্যাম থাকার কারণে হেভি ইউস করতে মোটামুটি সমস্যা হয় না। কিন্তু প্রসেসর টা আরেকটু ভালো হলে কম্বিনেশন টা ভালো হতো ।এজন্য apps ব্যবহারের সময় একটু সময় নিবে লোডিং হতে । যখন আপনি পার্সোনাল কাজে ফোনটি ডেইলি ইউজ করবেন তখন এগুলো আপনার অভ্যাসগত হয়ে যাবে। গেমিং দিক দিয়ে অনেক ভালো। ফ্রি-ফায়ার, পাবজি এগুলো অনেক ভালোভাবে খেলা যায় এই ফোনটিতে। সামগ্রিকভাবে মোটামুটি অনেক ভালো পারফর্মেন্স পাবেন এই বাজেট অনুযায়ী।
এবার আসা যাক ব্যাটারি নিয়ে, থাকছে ৫৯৫০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার এর বিশাল পাওয়ারহাউজ । মোটামুটি ইউজার দের দুইদিন ব্যাকআপ দেওয়ার জন্য এটি যথেষ্ট ।তবে হেভি ইউজাররাও অনেক ভালো ব্যাকআপ পাবে এটিতে। পাশাপাশি এতে থাকছে রিভার্স চার্জিং টেকনোলজি । অর্থাৎ যার জন্য আপনি এই ফোন দিয়ে অন্য কোন ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইস চার্জ করতে পারবেন। আজাইরা ফালতু কোন অ্যাপস নেই এতে এবং অ্যান্ড্রয়েড ১০ এ রান করছে এটি। ভালো লেগেছে এর ডার্কমড টা । তবে যেহেতু এটি এন্ট্রি লেভেলের ফোন তাই ভারী ইউজাররা ব্যবহার করলে একটু struggling দেখতে পাবেন। তাই সাজেশন থাকবে এটিতে লাইট অ্যাপস গুলো ব্যবহার করার।
ক্যামেরা সেকশনে থাকছে সনি সেন্সর যুক্ত ১৩ মেগাপিক্সেল এর রিয়ার ক্যামেরা। যার পাশাপাশি থাকছে ৫মেগাপিক্সেল এবং আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা এবং ডেপ্ত সেন্সর. সামনে থাকছে ৮মেগাপিক্সেল এর সনি সেন্সর যুক্ত ক্যামেরা । সেলফি কোয়ালিটি ঠিকঠাকই বলা যায় বাজেট অনুযায়ী। মোটামুটি সাড়ে দশ হাজার টাকায় ফোনটি আমার ভালোই লেগেছে। আপনারা চাইলে ফোনটি ইউজ করে দেখতে পারেন,আশাকরি ভালো লাগবে।