প্রায় দেড় বছর হয়ে গেল করোনাভাইরাস মহামারী বন্ধ হওয়ার কোন নাম গন্ধ নেই। প্রতিনিয়তই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়তে হয় নার্স এবং ডাক্তারদের। সকলের মুখে কেবল একটাই কথা। এই অবস্থায় যদি কোন আর্টিফিশিয়াল রোবটকে কাজে লাগানো যেত।
তবে এত অল্প সময়ের মধ্যে নিখুঁতভাবে কোন আর্টিফিশিয়াল রোবট তৈরি করা সম্ভব নয়। এবং এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালো বাংলাদেশের তরুণেরা।
অবশ্য এর মধ্যেই বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে আর্টিফিশিয়াল রোবটের ব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছিল করোনা চিকিৎসার জন্য। তবে সেগুলোকে অনেকাংশে নির্ভর থাকতে হতো মানুষের উপরে। রোবট পরিচালনা করার জন্য আবার স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল।
এই ক্রান্তিলগ্নে মানুষের বিকল্প খুঁজে বের করার জন্য রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল প্রাক্তন তরুণ ছাত্র আবিষ্কার করেছে করোনা চিকিৎসায় সহায়ক রোবট ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম।
বীর প্রতীক উপাধি প্রাপ্ত একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধার নাম অনুসারে এই রোবটটি নামকরণ করা হয়েছে ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম । ১৯৭১ সালে লড়াকু সেতারা বেগমের নাম অনুসারে নামকরণকৃত এই রোবটটি বর্তমান সময়ে ব্যবহার করা হচ্ছে মহামারীর যুদ্ধে।
করোনা মহামারী নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত এই রোবটটি খুব সহজেই পরিচালনা করা যেতে পারে ।নারী বেশে এই রোবটটি পরিধান করেছে একটি সালোয়ার কামিজ এবং টি-শার্ট । সারা শরীর ধবধবে সাদা , ঠোটে রয়েছে লিপস্টিক ।করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ২১ টিরও বেশি সেন্সর।
২০২০ সালের আগস্ট মাসের সর্ব প্রথম বারের মত রোবটের চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।টুকিটাকি নির্দেশনা দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ।জানানো হয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি এই রোবট এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে পারে তাহলে সেই ক্ষেত্রে বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদন করা হবে রোবটটি।
রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংগঠন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বাংলাদেশ নির্মাণ করেছেন এই রোবোটটি । চিকিৎসকরা চাইলে বাসায় বসে কন্ট্রোল করতে পারবে এই রোবটটি । তবে দুঃখের ব্যাপার এখনো পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিষয়ক কোনো প্রতিপক্ষ , সরকারি কোন সংস্থা, অথবা বেসরকারি কোন সংস্থার কাছ থেকে কোন রূপ রেসপন্স মেলেনি ।
রোবটটি কতটুকু ব্যয়বহুল হবে সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে এর নির্মাতারা বলেন, প্রত্যেকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাধ্যের মধ্যে থাকবে এই রোবটটি।
সবকিছু ঠিকঠাক কেবলমাত্র সরকারের কাছ থেকে অর্থাৎ সরকারি কোন সংস্থার কাছ থেকে একটি প্রতিক্রিয়ার দাবিদার এর নির্মাতা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বাংলাদেশ নামের এই সংগঠনটি ।