চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-মার্চ) হুয়াওয়ে টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেডের রাজস্ব বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। নিজেদের পণ্য উৎপাদনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সরবরাহ পেতে জটিলতার মুখেও এ রাজস্ব প্রবৃদ্ধিকে প্রতিষ্ঠানটির জন্য ইতিবাচক বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি উল্লেখ করে গত মে মাসে হুয়াওয়ের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ। পাশাপাশি চীনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। এর ফলে নিজেদের ডিভাইস উন্নয়নের জন্য মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোর কাছ থেকে সরঞ্জাম কেনা বন্ধ হয়ে যায় হুয়াওয়ের।
চিনা প্রতিষ্ঠঠানটির জটিলতা সৃষ্টি হয় নিজেদের স্মার্টফোনে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার নিয়েও।
এমনকি হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসা চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় এক ডজনের বেশি মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি।
বিশ্বের বৃহৎ টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম নির্মাতা এবং দ্বিতীয় বৃহৎ স্মার্টফোন নির্মাতা হুয়াওয়ে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ৩০ শতাংশ হলেও তা প্রথম তিন মাসের ৩৯ শতাংশের চেয়ে কম। তবে গত বছরের চেয়ে কিছুটা বেশি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, হুয়াওয়ের প্রধান ব্যবসা হলো নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম নির্মাণ এবং সরবরাহ করা। মোবাইল ডিভাইস ব্যবসায় বেশ পরে প্রবেশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কারণে এর নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম এবং ডিভাইস ব্যবসায় কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে একই প্রান্তিকে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ফাইভজি নিয়ে একাধিক চুক্তি সম্পন্ন করায় এর রাজস্ব বেড়েছে।
গত মাসে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রেন ঝেংফেই জানিয়েছিলেন, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা স্মরণকালের সংকটপূর্ণ সময় পার করছেন। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে কল্পনার চেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে হুয়াওয়ের ব্যবসায়। তবে আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত আছি।
হুয়াওয়ের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকতা এখনো শেষ হয়নি।
খোদ মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোরও দাবি, যত দ্রুত সম্ভব হুয়াওয়ের ওপর থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হোক।