বাজারে এসেছে অ্যাপলের নতুন আইফোন ১১ লাইনআপ। স্টোরের সামনে অল্প সংখ্যক ক্রেতার সারি দেখা গেছে। এর আগের আইফোন মডেলগুলোর ক্ষেত্রে দোকানের সামনে শত শত ক্রেতার দীর্ঘ সারি ছিলো।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্মার্টফোন বাজারটিতে আইফোন ১১-এ গ্রাহকের আগ্রহের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে অ্যাপল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই বাজারে স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে দখল অনেকটা হারিয়েছে আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো সস্তা ডিভাইস এবং ফিচারের মাধ্যমে বাজারের দখল বাড়িয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শাংহাই এবং বেইজিং অ্যাপল স্টোরের সামনে গ্রাহকের সংখ্যা ছিলো হাতেগোণা কয়েক ডজন।
চীনে বেশিরভাগ অ্যাপল ভক্ত অনলাইনে কেনাকাটার দিকে চলে এসেছেন বলেও জানানো হয়েছে। আগের সপ্তাহেই অনলাইনে ৬৯৯ থেকে ১০৯৯ মার্কিন ডলারের মধ্যে আইফোন ১১ মডেলগুলোর প্রি-সেল শুরু হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন আগের বছরের চেয়ে এবারে আইফোন বিক্রির শুরুটা ভালো হয়েছে। চীনা ই-কমার্স সাইট জেডি ডটকমের তথ্যানুসারে আগের বছরের আইফোন Xআর-এর চেয়ে এক দিনে আইফোন ১১-এর প্রি-সেল বেড়েছে ৪৮০ শতাংশ।
আইফোন ৩জি’র সময় থেকে আইফোন ব্যবহার করছেন এমন এক গ্রাহক বেইজিং অ্যাপল স্টোরের সামনে রয়টার্সকে বলেন, বিশেষভাবে তিনি আরও বেশি দামি আইফোন ১১ প্রোতে আগ্রহী, যার পেছনে তিনটি ক্যামেরা রয়েছে। “ছবি তোলার দিক থেকে এটি রাতের ছবির জন্য দারুণ এবং আরও বেশি পরিষ্কার ছবি তুলতে পারে।”
অন্যান্য গ্রাহকরা বলছেন, তাদের ভাবনার বিষয় হচ্ছে এই মডেলগুলোতে ৫জি নেটওয়ার্ক সমর্থন নেই। এতে ৫জি দৌড়ে হুয়াওয়ে এবং ভিভোর মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পিছিয়ে পড়ছে অ্যাপল। পরবর্তী আইফোনে ৫জি প্রযুক্তি যোগ করা হবে বলেও আশা করছেন তারা।
চীনা সরকারি কর্মকর্তা লিউ লিউ বলেন, “আমি মনে করি সামনের বছরের মধ্যে বিশেষভাবে বেইজিংয়ের মতো বড় শহরগুলোতে ৫জি নাগালের মধ্যে চলে আসবে। তারা (অ্যাপল) যদি এই বিষয়টি বিবেচনা না করে তবে তারা অনেক পিছিয়ে পড়বে।”