দিন দিন স্মার্টফোনের বাজারের প্রতিযোগিতা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। বাজারে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখে বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ডগুলো সর্বাধুনিক ফিচার সম্বলিত ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন বাজারে আনছে। হুয়াওয়ের পি৩০ প্রো ও সম্প্রতি উন্মোচন হওয়া অ্যাপলের আইফোন ১১ প্রো এমনই দুটি স্মার্টফোন। চলুন দেখে নেওয়া যাক স্মার্টফোন দুটির তুলানামূলক কিছু ফিচার।
ক্যামেরা: আইফোন ১১ প্রো নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, স্মার্টফোনটির ক্যামেরা পেশাদার আলোকচিত্র ও ভিডিওগ্রাফারদের জন্য উপযুক্ত। আইফোন ১১ প্রো’তে যুক্ত করা হয়েছে তিন লেন্সের ক্যামেরা। ওয়াইড, আল্ট্রা ওয়াইড ও টেলিফটো লেন্স। এতে রাখা হয়েছে লো লাইট ক্যাপচার অপশনও। অন্যদিকে হুয়াওয়ের পি৩০ প্রো স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়েছে চার লেন্সের ক্যামেরা। বিশ্বখ্যাত ক্যামেরা ব্র্যান্ড লেইকা যুক্ত রয়েছে এ ব্র্যান্ডের সাথে। এছাড়াও পি ৩০ প্রো ফোনটিতে জুমিং সুবিধা রাখা হয়েছে ৫০ গুণ পর্যন্ত। ক্যামেরায় রয়েছে সুপার লো-লাইট, ম্যাক্রো, এআই সিন রিকগনিশন ফিচার।
ব্যাটারি ও ফাস্ট চার্জ: হুয়াওয়ের পি৩০ প্রো স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ৪০ ওয়াটের সুপার চার্জিং সুবিধাসহ ৪২০০ এমএএইচের ব্যাটারি। আর আইফোন ১১ প্রো’তে রাখা হয়েছে ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সহ ৩১৯০ এমএইচের ব্যাটারি।
র্যাম ও রম: আইফোনের নতুন স্মার্টফোন ১১ প্রো’তে ৪ জিবি র্যামের সাথে রাখা হয়েছে ৬৪ জিবি, ২৫৬ জিবি ও ৫১২ জিবি রম সুবিধা। অপরদিকে হুয়াওয়ের পি৩০ প্রো’তে ৮ জিবি র্যামের সাথে রাখা হয়েছে ২৫৬ জিবি ও ৫১২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ সুবিধা।
ডিসপ্লে ও স্ক্রিন: আইফোনের ১১ প্রো স্মার্টফোনটির ডিসপ্লে ৫.৮ ইঞ্চি। ওএলইডি ডিসপ্লের এ ফোনটির স্ক্রিন টু বডি রেশিও ৮২.৯ শতাংশ। এতে রাখা হয়েছে সুপার রেটিনা এক্সডিআর প্রযুক্তি। হুয়াওয়ের পি৩০ প্রো স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৪৭ ইঞ্চির ওএলইডি ডিসপ্লে। এর স্ক্রিন টু বডি রেশিও ৮৮.৬ শতাংশ।
দাম: হুয়াওয়ে পি৩০ প্রো স্মার্টফোনটির (৮+২৫৬ জিবি) দাম ৮১৪.০৪ ইউএসডি ডলার। আর আইফোন ১১ প্রো স্মার্টফোনটির (৪+২৫৬ জিবি) দাম ১৩৪০.৯৩ ইউএসডি ডলার।