মঙ্গলবার থেকে অর্ডার করা যাচ্ছে নতুন ম্যাক প্রো। সব আপগ্রেডসহ নতুন ম্যাক প্রো কিনতে গেলে ক্রেতাকে গুণতে হবে ৫০ হাজার ডলারের বেশি।
আর ৫০ হাজারে ডলারের বেশি মূল্যে সব ম্যাক প্রো আপগ্রেড পাওয়া গেলেও সফটওয়্যার এবং ডিসপ্লে মিলবে না, ওগুলো আলাদা করে কিনতে হবে। ক্রেতারা চাইলে সাধারণ পর্যায়ের ম্যাক প্রো-ও কিনতে পারেন, সেক্ষেত্রে তারা বাড়তি কোনো আপগ্রেড পাবেন না। সেক্ষেত্রে, দাম পড়বে মাত্রই ৫৯৯৯ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় পাঁচ লাখ টাকার কিছু বেশি, তার সঙ্গে যোগ হবে করের অঙ্ক। — খবর প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেটের।
ম্যাক প্রো’র দামি কিছু আপগ্রেডের মধ্যে রয়েছে সাত হাজার ডলারের ২.৫ গিগাহার্টজের ২৮ কোর ক্ষমতাসম্পন্ন ইনটেল জিয়ন প্রসেসর ও ৪.৪ গিগাহার্টজ ক্ষমতাসম্পন্ন টার্বো বুস্ট, ২৫ হাজার ডলারের ১.৫ টেরাবাইট ডিডিআর৪ ইসিসি মেমোরি ইত্যাদি। এভাবে সব আপগ্রেড মিলিয়ে ম্যাক প্রো’র মোট দাম আসে ৫২ হাজার ৭৪৮ ডলার বা প্রায় ৪৫ লাখ টাকা।
মার্কিন বাজারে টেসলার নতুন সাইবারট্রাকের দাম পড়বে ৩৯,৯০০ ডলার। শুধু সাইবারট্রাক নয়, মার্কিন বাজারের অনেক গাড়ির দামও আপগ্রেডেড ম্যাক প্রো’র দামের তুলনায় নস্যি।
তবে, এতো দাম হওয়ার পেছনেও কারণ রয়েছে। একক ভোক্তাদের কথা চিন্তা করে ডিজাইন করা হয়নি ম্যাক প্রো, পেশাদার বাজার ধরতে চেয়েছে অ্যাপল। ম্যাক প্রো’তে যে ইনটেল প্রো-লেভেল জিয়ন প্রসেসর দেওয়া কথা বলা হচ্ছে, সেটি সাধারণ কোনো ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এক কথায় বলা চলে, সাধারণ ভোক্তা শ্রেনীর জন্য ম্যাক প্রো তৈরি করেনি অ্যাপল।