‘ফেসবুক নিকোটিনের মতো নয়, তবে আমার কাছে এটি চিনির মতো। চিনি সুস্বাদু এবং আমাদের অনেকের জীবনে এর বিশেষ জায়গা আছে। কিন্তু কেবল গ্রহণযোগ্য মাত্রায় নিতে পারলে এর সুবিধা পাওয়া যাবে।’
কর্মীদের উদ্দেশ্যে অভ্যন্তরীণ এক ব্লগ পোস্টে এমনটাই লিখেছিলেন ফেসবুকের অগমেন্টেড ও ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু বোসওয়ার্থ।
২০১৯ সালের শেষ দিকে লেখা ওই পোাস্টে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আমি যদি চিনি খেতে চাই ও অল্প বয়সে মরে যাই, তবে তা কি যৌক্তিক হবে?’
এই পোস্টটি ফাঁস করে দেয় দ্য ‘নিউইয়র্ক টাইমস’। এরপর পোস্টটি নতুন আলোচনার জন্ম দেয়। বোসওয়ার্থের মতে, ফেসবুক চিনির মতোই ক্ষতিকর বস্তু। এর অপব্যবহার করলেই বিপদ। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এটি কীভাবে ব্যবহার করবেন, এটি তাদের ওপর নির্ভর করে।
৭ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায় ফেসবুককে উদ্দেশ্য করে বোসওয়ার্থ পোস্টে লিখেছেন, এতে অনেকের মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার মতো তথ্যই রয়েছে। ফেসবুকই প্রকৃতপক্ষে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে বসিয়েছে। ফেসবুক তার হাতে ডিজিটাল টুল তুলে দিয়েছে। এ টুলের যথেচ্ছ ব্যবহার করেছেন ট্রাম্প। সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। খরচের দিক থেকে কেউ তাকে টপকাতে পারেনি। একক বিজ্ঞাপনদাতা হিসেবে তিনি সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন।
কেমব্রিজ অ্যানলিটিকা স্ক্যান্ডাল উড়িয়ে দিয়ে তিনি আরো লিখেছেন, ফেসবুকে প্রাযুক্তিক শক্তিই ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে পরাজিত করবে।