টিকটক চেনেনা এখন এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। সামাজিক মাধ্যমের মাঝে এখন জনপ্রিয়তম অ্যাপ হচ্ছে, টিকটক। এমনকি ফেসবুকের চেয়েও বেশি ইউজার টিকটকের। সম্প্রতি এমনই এক তথ্য প্রকাশ করেছে মোবাইল অ্যাপের বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান সেন্সর টাওয়ার।
প্রতিষ্ঠানটির গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে দেখা যায়, ২০১৯ সালের শেষে সবচেয়ে বেশি অ্যাপ ডাউনলোডের তালিকায় উপরের দিকে আছে হোয়াটসঅ্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপ যদিও ফেসবুক কিনে নিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্বব্যাপী ডাউনলোড হয়েছে ৮৫০ মিলিয়ন। ৮৫০ মিলিয়ন ডাউনলোড নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ আছে সবচেয়ে ডাউনলোড হওয়া অ্যাপের তালিকার শীর্ষে।
কিন্তু চমক হচ্ছে, দ্বিতীয় পজিশন নিয়ে। এখানে না আছে, ফেসবুক, না আছে মেসেঞ্জার, এমনকি ইনস্টাগ্রামও নেই। সেখানে ৭০০ মিলিয়নেরও বেশি ডাউনলোড নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে টিকটক। তারপরেই আছে ৭০০ মিলিয়নের সামান্য কিছু বেশি ডাউনলোড নিয়ে ফেসবুক মেসেঞ্জার, আর ৭০০ মিলিয়নের সামান্য কিছু কম ডাউনলোড নিয়ে ৪র্থ অবস্থানে আছে ফেসবুক। এরপরে আছে ইনস্টাগ্রাম এবং লাইকি।
গবেষণায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র আর্মি এবং নেভি সিকিউরিটি ইস্যুতে টিকটক নিষিদ্ধ করার পরেও চাইনিজ কোম্পানির এই অ্যাপ দারুন সফল। বিশেষ করে ভারতে। এটা বেশি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বেশি সফল। ৪৫% নতুন ডাউনলোডার হচ্ছে ভারত থেকে। যদিও টিকটকের নামে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ ফাইল করা আছে ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে। এবিষয়ে যদিও কোনো সরকারি নিষেধাজ্ঞা আসেনি তবে পেন্টাগন সকল সরকারি ফোনে টিকটক নিষিদ্ধ করেছে।
কিন্তু সেন্সর টাওয়ারের তথ্য দেখে মনে হচ্ছে মানুষের কাছে বিনোদনই প্রধান বিবেচ্য বিষয়, নিরাপত্তা নয়। কারণ টিকটক খুব অল্প সময়ের ভেতরেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ডাউনলোড হওয়া অ্যাপে পরিণত হলো।