চলতি বছর ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ৪৯তম অবস্থান অর্জন করেছে হুয়াওয়ে। টেলিযোগাযোগ খাতের শীর্ষস্থানীয় এ প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো এই তালিকার শীর্ষ ৫০ -এ প্রবেশ করেছে। বিগত বছরগুলোতেও প্রতিষ্ঠানটি তাদের অগ্রগতির ধারা বজায় রেখেছিলো।
ফরচুনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভূ-রাজনৈতিক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও গত বছর হুয়াওয়ের নিট মুনাফা বৃদ্ধি পায় ৫.৬ শতাংশ এবং বছর প্রতি হিসেবে চলতি বছরের প্রথমার্ধে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৩.১ শতাংশ।’
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব, মুনাফার ওপর নির্ভর করে ফরচুন প্রতিবছর ৫০০ প্রতিষ্ঠানের এ র্যাংকিং প্রকাশ করে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনামূলক আকারও বিবেচনায় নেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেদের অবস্থান, আকার, সামর্থ বিবেচনার ক্ষেত্রে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ফরচুন ৫০০ নামের এ র্যাংকিং গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও, এ র্যাংকিং জাতীয়তা, সীমানা ও সাংস্কৃতিক বিভাজনের বাইরে এসে বৈশ্বিক অর্থনীতির একটি পরিমাপক হিসেবে কাজ করছে।
এর আগে, বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ (বিসিজি) চলতি বছরের সেরা ৫০টি উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে। এ তালিকায় ৪২ ধাপ এগিয়ে ছয় নম্বরে উঠে আসে হুয়াওয়ে। ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া হুয়াওয়ের জন্য এখন পর্যন্ত এ তালিকায় এটিই সর্বোচ্চ সাফল্য।
কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি রুখতে হুয়াওয়ে তাদের উদ্ভাবনমুখী প্রচেষ্টাকে আরো বেগবান করেছে এবং এর অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি অ্যান্টি-কোভিড-১৯ পার্টনার প্রোগ্রাম চালু করেছে, যার মূলে রয়েছে এআই, রিমোট অফিস, স্মার্ট হেলথকেয়ার এবং অনলাইন শিক্ষা।
গত মাসে চলতি বছরের প্রথমার্ধের ব্যবসায়িক ফলাফল তুলে ধরার সময় হুয়াওয়ে জানায়, ‘প্রতিকূল বাহ্যিক পরিবেশ বৈশ্বিক ভ্যালু চেইনে উন্মুক্ত সহযোগিতা এবং বিশ্বাসকে আগের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের চাহিদাপূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ হুয়াওয়ে। একইসাথে প্রতিকূল অবস্থায় টিকে থাকতে টিকে থাকার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে গিয়ে বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনীতি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নে অবদান রাখার ব্যাপারেও হুয়াওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’