সময় এখন ৫জি প্রযুক্তির। সে নিয়ে চলছে বিশ্বব্যাপি প্রস্তুতি। তবে এরইমধ্যে প্রস্তুতি পর্ব পেরিয়ে বাজারে নিজেদের ৫জি প্রযুক্তির স্মার্টফোন নিয়ে এসেছে ভিভো। চীনা এই বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ৫জি প্রযুক্তিতেও বিশ্বকে পথ দেখানোর ভূমিকায় আছে।
চলতি বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় বারবারই নাম এসেছে ভিভোর। সময়োপযোগী ও আধুনিক প্রযুক্তি সামনে নিয়ে এগোনোর কারণে দ্রুতই শীর্ষে চলে এসেছে ভিভো।
সারা বিশ্ব যখন ৫জি প্রযুক্তিতে যাত্রা শুরুর প্রস্তুতি পর্বে, তখন বাজারে চলে এসেছে ভিভোর ৫জি স্মার্টফোন। নতুন উদ্ভাবনসহ আরো ৫জি স্মার্টফোন আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন ভিভোর লক্ষ্য মাল্টি ডিভাইস ও মাল্টি অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরো প্রানবন্ত ৫জি অভিজ্ঞতা দেয়া।
ভিভো বাংলাদেশ জানায়, বিশ্বের প্রথম ব্র্যান্ড হিসেবে ভিভো তাদের ৫জি স্মার্টফোন ‘ভিভো আইকিউওও প্রো ৫জি’ বাজারে এনেছে। আরো বেশ কয়েকটি ৫জি স্মার্টফোন বাজারে আসার অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ইতিমধ্যেই- ২০২১ সালে দেশে ৫জি চালু করার এবং ২০২৩ সালের মধ্যে সব জেলায় ৫জি সুবিধা দেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে স্মার্টফোনে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীদের হার লক্ষ্যনীয় হারে বেড়েছে। আর ক্রমবর্ধমান এই ব্যবহারকারীদের চাহিদা মেটাতে, দেশে ৪জি নেটওয়ার্কের ভিত্তি বা অবকাঠামো আরো মজবুত হয়েছে যার ফলে ২০২১ সালের মধ্যে ৫জি প্রযুক্তির বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, বিশ্বের ৫জি বাজারে এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৪র্থ স্থান দখল করেছে ভিভো। এ বছর সারা বিশ্বে ২১ মিলিয়ন ৫জি স্মার্টফোন সরবরাহ করার পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ডফোর্সের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে আসে।
ধারণা করা হচ্ছে, বাজারে বিদ্যমান এলটিই ডিভাইসগুলোর সঙ্গে ভিভো ৫জি ফোনের দামের খুব বেশি তারতম্য হবে না। তাই গ্রাহকরা সহজেই ভিভোর ৫জি অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন ।
বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশের মাত্র ৩ বছরের মধ্যে- ভিভো তাদের উদ্ভাবন ও স্মার্টফোন ডিজাইনের মাধ্যমে শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। এরই মধ্যে ভিভোর কাছ থেকে দুর্দান্ত ক্যামেরা বৈশিষ্ট্য ও সেরা ডিজাইনের স্মার্টফোন পেয়েছে গ্রাহকরা।
ভিভো বাংলাদেশ জানিয়েছে, দেশের তরুণরা নিজেদের বাজেটের মধ্যে সেরা প্রযুক্তি স্মার্টফোনটি কিনতে চায়। ভিভো সেসব তরুণদের বিষয়টিই মাথায় রেখে কাজ করছে। যেন তরুণরা নিজেদের পছন্দের স্মার্টফোনটির সাহায্যে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।