মহামারির সময়টাতে পুরো বিশ্ব যখন দিশেহারা। নিজের জীবন বাঁচানোই যখন একমাত্র চিন্তা। সেই সময়ও বাজারে এসেছে নিত্য নতুন ডিভাইস। বলা যায় মহামারির সময়টাতে মানুষ সবচেয়ে বেশি ডিভাইসে আসক্ত হয়েছেন। একের পর এক জনপ্রিয় হয়েছে জীবনমান সহজ করার ডিভাইসগুলো।
এ বছরে প্রযুক্তি বাজারে নিত্যনতুন যত ডিভাইস এসেছে তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি সাড়া ফেলেছে স্মার্টওয়াচ। গত কয়েকবছর ধরে স্মার্টওয়াচ ও ফিটনেস ব্যান্ডের ব্যবহার বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে চলুন ২০২০ সালে পুরোবিশ্বে সাড়া জাগানো কয়েকটি স্মার্টওয়াচের দাম ও নাম জেনে নেই।
রিয়েলমি ওয়াচ
এই তালিকার শুরুতেই রয়েছে ১.৪ ইঞ্চির কালার টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে দেয়া চমৎকার এই স্মার্টওয়াচটি। যার পিক্সেল রেট ৩২০ x ৩২০ পিক্সেলস। ডিভাইসটিতে ১২ ধরনের বিল্ট-ইন ওয়াচ ফেস রয়েছে। এছাড়াও ইউজারেরা চাইলে অন্যান্য ওয়াচ ফেস ডাউনলোডও করে নিতে পারেন। চারকোণা ডায়ালের এই হাতঘড়িটি কালো, নীল, লাল এবং সবুজ – এই চারটি কালার অপশনের পাওয়া যাচ্ছে। ঘড়িটির ওজন মাত্র ৩১ গ্রাম। ২৪/৭ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট এই স্মার্টওয়াচের ব্লাড-অক্সিজেন লেভেল মনিটর রয়েছে। রয়েছে রিয়্যাল টাইম হার্ট-রেট মনিটরও রয়েছে এই স্মার্টওয়াচে। ইন্টেলিজেন্ট অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকার-সহ এই হাতঘড়িতে ১৪টি ভিন্ন-ভিন্ন স্পোর্টস মোড রয়েছে।
অ্যামাজফিট নিও স্মার্টওয়াচ
এরপরের অবস্থানে আছে রেট্রো ডিজাইনের অ্যামাজফিট নিও স্মার্টওয়াচটি। ২৮ দিন ব্যাটারি লাইফের এই ঘড়িতে অলওয়েজ-অন ডিসপ্লে রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ৫ মিটার ওয়াটার রেসিসট্যান্ট। এছাড়াও আছে ৪টি ফিজিকাল বাটন রয়েছে। চমৎকার এই স্মার্টওয়াচ যেমন হার্টরেট মাপতে পারে, তেমনই আবার এতে রয়েছে স্লিপ মনিটরের মতো অসামান্য ফিচার। রানিং, ওয়াকিং এবং সাইক্লিং এই তিন ধরনের স্পোর্টস মোড রয়েছে ডিভাইসটিতে। এর ডিসপ্লে ১.২ ইঞ্চির।
নয়েজ কালারফিট প্রো
তৃতীয় নয়েজ কালারফিট প্রো স্মার্টওয়াচটি মূলত ফিটনেস ওয়াচ। এই হাতঘড়িতে রয়েছে ওয়াটারপ্রুফ কালার্ড ডিসপ্লে, হার্টরেট সেন্সর, কল এবং নোটিফিকেশন অ্যালার্ট এবং তার সঙ্গেই মিউজিক কন্ট্রোল ফিচার্স। আপাতত এই স্মার্টওয়াচের একটি কালার অপশনেই পাওয়া যাবে। এই স্মার্টওয়াচে ১.২ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে রয়েছে। ডিসপ্লের রেজুউলিশন ২৪০ X ২৪০ পিক্সেলস।
জিওনি স্মার্ট লাইফ
চতুর্থ নম্বরে ২৪ ঘন্টা হার্ট রেট মনিটরিং করার বিশেষ ফিচার বিশিষ্ট এই হাতঘড়িটি। এতে ১.৩ ইঞ্চির আইপিএস কালার ডিসপ্লে দেয়া হয়েছে। এতে ২.৫ ডি কার্ভড কর্নিং গরিলা গ্লাস প্রোটেকশনও রয়েছে। ৫ মিটার পর্যন্ত ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্স ক্ষমতা রয়েছে এই স্মার্টওয়াচের।
অ্যামাজফিট বিপ ইউ স্মার্টওয়াচ
তালিকার পঞ্চম নম্বরে বলতে হয় চমৎকার এই অ্যামাজফিট স্মার্টওয়াচটি কথা। ১.৪৩ ইঞ্চির এইচডি কালার ডিসপ্লে রয়েছে এই হাতঘড়িতে। এতে রয়েছে এসপি জিরো টু, যা রক্ত এবং অক্সিজেন লেভেল মাপতে সাহায্য করে এবং স্ট্রেস মনিটর করে। আছে হার্ট রেট মনিটরিং করার সক্ষমতাও।