বর্তমানে আমরা অনেকেই বিভিন্ন গ্যাজেটের সাথে পরিচিত। হতে পারে সেই গ্যাজেটগুলো অনেক দামী, আবার হতে পারে সেগুলো অনেক কম দামী। বিভিন্ন ধরনের গ্যাজেট, বিভিন্নভাবে জনপ্রিয়। এদের মধ্যে অন্যতম একটি জনপ্রিয় গ্যাজেটের নাম ‘ ড্রোন ‘। আমরা অনেকেই এর সাথে পরিচিত। অনেকে হয়তো সিনেমায় এটিকে দেখে চিনেছে, আবার অনেক হয়তো ইউটিউবে দেখে চিনেছে। আজ কথা হবে সেই ড্রোন নিয়েই।
‘ডিজেআই’ হচ্ছে একটি টেক ব্র্যান্ড। যেটা তাদের নতুন একটি ড্রোন নিয়ে এসেছে বর্তমান বাজারে। সেটার নাম হচ্ছে ‘মেভিক এয়ার ২’। এর আগেও এর একটি ভার্সন ছিলো। সেটার থেকে নতুন এই ড্রোনে অনেক কিছুই আপগ্রেড করে বাজারে নিয়ে এসেছে ‘ ডিজেআই ‘। দেখে আসা যাক কি আছে এই আপগ্রেডেড ড্রোনে।
এই ড্রোনে রয়েছে ৪কে ৬০এফপিএস ভিডিও রেকর্ডিং সিস্টেম, ৪৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা, ৮কে হাইপারলেপস, ৩৪ মিনিটের ব্যাটারী ব্যাকআপ এবং ১০ কিঃমিঃ রেঞ্জের দূরত্ব পর্যন্ত রেকর্ডিং ক্যাপাসিটি।
এখন চলুন নিচে গিয়ে জেনে আসা যাক এগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্যঃ⤵️
তারা তাদের এই ড্রোনের ক্যামেরায় অনেকটা পরিবর্তন এনেছে। ৪৮ মেগাপিক্সেলের এই ক্যামেরায় ব্যাবহার করেছে ‘সনি’র আইএমএক্স ৫৮৬ সেন্সর। এই ক্যামেরার মোড হলো তিনটি। সেগুলো হচ্ছে এইচডিআর, হাইপারলাইট এবং সিন রিকগনেশন। যেগুলো ভিন্ন ভিন্ন সময়ের জন্য শ্যূট করার ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত হয়।
৪কে’র ভিডিও রেকর্ডিং এ থাকছে ৪এক্স এবং ৮এক্সের স্লো মোশন ভিডিও টাইপ।
ট্র্যাকিং ডিভাইস হিসেবে এই ড্রোনে ব্যাবহার করা হয়েছে ‘ফোকাসট্রাকে’র ট্র্যাকিং সিস্টেম। এই সিস্টেমের রয়েছে তিনটি মোড। সেগুলো হচ্ছে এক্টিভ ট্র্যাক, পয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট এবং স্পটলাইট।
এছাড়াও এই ড্রোনে থাকছে ৮কে’র হাইপারলেপস মোডে ভিডিও করার অসাধারণ সিস্টেম। যেটা আপনি আপনার সুবিধামতোন ব্যাবহার করতে পারবেন।
‘ডিজে আই’ এবার তাদের এই আপগ্রেডেড ড্রোনে ফ্লাইং সিস্টেমে অনেকটা পরিবর্তন এনেছে। ড্রোনটিকে অনায়াসেই আধ ঘন্টা উড়ন্ত অবস্থায় ব্যাবহার করা যাবে। সব মিলিয়ে ৩৪ মিনিট পর্যন্ত এটি উড়ন্ত অবস্থায় থাকতে পারবে৷
‘ডিজেআই’ এর নতুন আরেকটি আপগ্রেড, যেটা এই ড্রোনের দূরত্বকে অনেকটা পরিবর্তন করে দিয়েছে৷ ‘অসিইউ সিংক ২.০’ আপগ্রেডের মাধ্যমে, এই ড্রোনটি ১০ কিঃমিঃ পর্যন্ত রেঞ্জের ছবি/ভিডিও এর নজরে আনতে পারবে। যেটা অসাধারন একটি বিষয়।
এই ড্রোনে আরও দেয়া হয়েছে ‘এডিএস-বি’ নামের একটি সিগন্যাল সিস্টেম। যেটার মাধ্যমে এটি কোনো উড়ন্ত প্লেন বা হেলিকপ্টার সিগন্যাল পাবে। তখন, যেটা দিয়ে এটা কন্ট্রোল করা হচ্ছিলো সেটার মধ্যে নোটিফিকেশন চলে আসবে। যে সেই প্লেন বা হেলিকপ্টার কতটা দূরত্বে আছে। এতে করে ড্রোনটিকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে আসা যাবে সহজেই।
‘ডিজেআই’ তাদের এই ড্রোনে আরও দিয়েছে এ.পি.এ.এস ৩.০ এর একটি অসাধারন আপগ্রেড। যেটা দ্বারা থ্রিডি ম্যাপ স্ক্যান করতে পারবে এই ড্রোন। এই ড্রোনটির সম্পূর্ণ ওজন হচ্ছে ৫৭০ গ্রাম।
এই ড্রোনের স্টোরেজ হচ্ছে ৮জিবি।
এই আপগ্রেড গুলো ছাড়াও, আরও অনেক কিছু দেখতে পাবেন এই দামী ড্রোনে। যা সত্যিই দেখার মতো বিষয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে এখন এর দাম ৮৭,৫০০। যেটা আগের দামের থেকে অনেকটাই কমে গেছে।