ভাঁজযোগ্য আইফোন বাজারে আসার গুঞ্জন নতুন কিছু নয়। তবে এবার সে গুঞ্জনে বাড়তি মাত্রা যুক্ত করেছেন অ্যাপলের বিশ্লেষক মিং-চি কুও। তিনি বলেছেন, ২০২৩ সালের মধ্যেই নতুন ধরনের আইফোন আনতে যাচ্ছে সংস্থাটি। ভাঁজযোগ্য পর্দার এ ফোনটির স্ক্রিনের আকার হবে সাড়ে ৭ থেকে ৮ ইঞ্চি। যদিও এর আগে বলা হয়েছিল যে ফোনটির স্ক্রিন ‘আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স’-এর আকারের কাছাকাছি কিংবা আরো ছোট হতে পারে। খবর দ্য ভার্জ।
এর আগেও আপলের ফোল্ডিং আইফোন প্রোটোটাইপের বিষয়ে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে এবার ম্যাকরিউমারের (ম্যাক ও অ্যাপল সম্পর্কিত সংবাদ পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট) এক প্রতিবেদনে কুও বলেন, ফোনটি এখনো বাজারে আনার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার কোনো পরিকল্পনা অ্যাপলের নেই।
এদিকে, স্যামসাং, মটোরোলা এবং রয়লের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলো এরই মধ্যে একাধিক ফোল্ডিং ফোন বাজারে ছেড়েছে। যদিও সেগুলো খুবই ব্যয়বহুল। তবে এগুলোকে প্রযুক্তির আশু ও সুস্পষ্ট বাস্তবায়ন হিসেবেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কুওর মতে, ভাঁজযোগ্য পর্দার নতুন এ আইফোনটিকে ভাঁজ করে রাখলে এর আকার হবে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি ফোল্ডের মতো। যার স্ক্রিনের আকার হবে প্রচলিত সেলফোনগুলোর মতোই। তবে এ ফোল্ডিং ডিসপ্লেটি কোন কোম্পানি বা কোথায় তৈরি করা হবে সেটি এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানান মিং-চি কুও। অ্যাপল দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানি এলজি এবং স্যামসাংয়ের সঙ্গে এ নিয়ে কাজ করছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
এদিকে অ্যাপলের প্রোটোটাইপ এবং কুও-এর দেয়া তথ্যে এটা আরো স্পষ্ট, অ্যাপল সত্যি সত্যিই ভাঁজযোগ্য পর্দার সেলফোন বানাতে কাজ শুরু করে দিয়েছে। প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় এটা নিয়ে কালক্ষেপণ করতে গিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না অ্যাপল।