ই-কমার্স ওয়েবসাইট আমাজনে ক্যামেরা অর্ডার করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর এক দম্পতি। দাম পড়েছিল সাত হাজার ডলারের বেশি, টাকায় ছয় লাখ। তবে বিনিময়ে কার্ডবোর্ডের দুটি খালি বাক্স ছাড়া আর কিছু মেলেনি।
দক্ষিণ কলোরাডোর আলামোসার কাছাকাছি থাকেন বিল চিলিস ও তাঁর স্ত্রী কেলি চিলিস। কাজ করেন আলোকচিত্রী হিসেবে। বিয়ে ও জন্মদিন থেকে শুরু করে শিক্ষা সমাপনীসহ যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠানে ছবি তোলেন তাঁরা। আমাজনে সনি আলফা-১ মডেলের ক্যামেরার ফরমাশ জানিয়েছিলেন তাঁরা।
ডেনভার-সেভেন টিভি চ্যানেলকে চিলিস দম্পতি বলেছেন, ‘আমাজন থেকে আমরা বেশ কয়েকটি ক্যামেরা কিনেছি। আগে কখনো সমস্যা হয়নি।’
মাইক্রোচিপ স্বল্পতার জন্য ৫০ মেগাপিক্সেলের সনি ক্যামেরাটি পৌঁছে দিতে প্রায় দুই মাস সময় নেয় আমাজন। তবে শেষমেশ যখন পৌঁছাল, মোড়ক খুলে ভেতরে দুটি বাক্স পান বিল চিলিস। দুটিই খালি ছিল বলে জানিয়েছেন।
স্বভাবতই অবাক হয়েছিলেন। বলেছেন, ‘থার্ড পার্টি ডেলিভারি সেবার ব্যাপারে এমনটা শুনেছি। তবে আমাজনের বেলায় নয়।’
আমাজনকে ব্যাপারটি জানালে অর্থ ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি। এতে চোখে শর্ষে ফুল দেখা শুরু করেন বিল। এ বিষয়ে আমাজনের এক প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বললে সেই প্রতিনিধি তাঁকে বলেন, ‘যেহেতু এ ক্ষেত্রে আমার আর কিছু করার নেই, তাই আমি কলটি কেটে দিচ্ছি।’
নিউজউইকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিলের স্ত্রী কেলিও ব্যাপারটি বিশ্বাস করতে পারছেন না। বিশেষ করে আমাজনের কাছে ‘প্রমাণ’ দেওয়ার পরও তারা যখন মানতে চাচ্ছে না। কুরিয়ার সেবাদাতা ইউপিএসের স্টিকারে প্যাকেটের ওজন হিসেবে দুই পাউন্ডের উল্লেখ আছে। তবে অন্যান্য ক্যামেরা বিক্রির ওয়েবসাইটগুলোতে সনি ক্যামেরাটির ওজন দেওয়া আছে তিন পাউন্ডের বেশি।
ক্যামেরাটি কেনার জন্য অনেক দিন ধরেই অর্থ জমাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন কেলি চিলিস। ডেনভার-সেভেনকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আপনি রেগে আছেন। লড়াই করতে চান। তবে জানেন না কী করতে হবে এবং তারা আপনার কথা শুনছে না। এরপর আপনি প্রমাণ পাঠালেন অথচ তারা দেখলও না।’
চিলিস দম্পতির বিশ্বাস পৌঁছে দেওয়ার সময় ক্যামেরাটি চুরি হয়েছে। বিল বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, আমাজনের কেউ কাজটি করে থাকতে পারে। এখন তারা ব্যাপারটি লুকাতে চাচ্ছে।’
পুলিশকে ঘটনাটি জানিয়েছেন ওই দম্পতি। ডেনভার-সেভেনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমাজন ব্যাপারটি ক্ষতিয়ে দেখছে। বিল চিলিস সরাসরি আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের ঠিকানায় ই-মেইল করলে উত্তর আসে, ঘটনাটি খতিয়ে দেখার পর মূল্য ফেরত দেবে আমাজন।
এরপর অন্তত মনের শান্তি মিলেছে বিল চিলিসের, তবে ফরমাশকৃত পণ্য না পৌঁছালে গ্রাহকের খুব বেশি করার সুযোগ থাকে না বলেও জানিয়েছেন।