নতুন ৫জি ফ্ল্যাগশিপ অপো ফাইন্ড এক্স৩ প্রো হবে বিশ্বের প্রথম ৫জি এসএ-কমপ্যাটিবল ই-সিম সংযুক্ত স্মার্টফোন।এমনটি ঘোষণা দিয়েছে বৈশ্বিক স্মার্টডিভাইস ব্র্যান্ড অপো । শীর্ষস্থানীয় ই-সিম সংযোগ ব্যবস্থাপনার সংস্থা থ্যালিসের সহযোগিতায় এই বিশেষ সিমটি তৈরি করা হয়েছে। অপো ফাইন্ড এক্স৩ প্রো ৫জি স্ট্যান্ডঅ্যালোন (এসএ) ই-সিম-ভিত্তিক ফোন ব্যবহারকারীদের ৫জি নেটওয়ার্ক নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি উন্নত স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা প্রদান করতে সক্ষম হবে।
প্রচলিত সিম কার্ড ডিভাইসে সংযুক্ত করতে হয়, কিন্তু ই-সিম সরাসরি ডিভাইসে এম্বেডেড থাকে। যার ফলে ব্যবহারকারীরা এই ই-সিমের সাহায্যে তাদের স্মার্টফোনে পছন্দের মোবাইল অপারেটরদের থেকে সংযোগ নির্বাচন করে একটি ভিন্নধর্মী ডিজিটাল অভিজ্ঞতা উপভোগ করবেন।
বিশ্বের বড় বড় মোবাইল অপারেটররা এসএ (স্ট্যান্ডঅ্যালোন) নেটওয়ার্কের বিভিন্ন সুবিধা যেমন – কম ল্যাটেন্সি, সহজে রূপান্তরযোগ্য এবং আরও বিস্তৃত ৫জি অভিজ্ঞতা প্রদানের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে মূলধারার ৫জি ফিউচারপ্রুফ অবকাঠামো হিসাবে এই নেটওয়ার্ক স্থাপন করছে। অপো এবং থ্যালিস বিশ্বে প্রথমবারের মতো ই-সিম চালিত ডিভাইসে ৫জি নেটওয়ার্ক সমর্থন করাতে কাজ করে যাচ্ছে যা এই প্রযুক্তির বিকাশে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
অপো’র ক্যারিয়ার প্রোডাক্ট বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর জিয়া ইয়াং বলেন, ‘শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল টেকনোলজি সংস্থা হিসাবে অপো প্রথম থেকেই ৫জি প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাচ্ছে। আমরা ব্যবহারকারীদের জন্য উদ্ভাবনী ৫জি অভিজ্ঞতা সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা এই অভিজ্ঞতা নিশ্চিন্তের ক্ষেত্রে ই-সিম প্রযুক্তিকে একটি বিস্ময়কর সম্ভাবনা হিসাবে দেখি।’
অপো এবং থ্যালিস ই-সিম সার্ভারের বৈধতা, ডিভাইস ডিবাগিং, যাচাইকরণ, ফাংশন ডেভলপমেন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে উদ্ভাবনী ই-সিম সলিউশন ফাইন্ড এক্স ৩ প্রো-তে সংযুক্ত করার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করেছে। অপো এবং থ্যালিস মোবাইল অপারেটরদের সাথে যৌথভাবে নেটওয়ার্কের উপযুক্ত ব্যবহার পরীক্ষা করার জন্যও কাজ করেছে, যেন ব্যবহারকারীরা তাদের ফাইন্ড এক্স ৩ প্রো দিয়ে একই সাথে দুটি সক্রিয় লাইন (অপসারণযোগ্য সিম এবং ই-সিম) উপভোগ করতে পারেন। তাছাড়া অপো’র প্রধান ই-সিম সলিউশনস পার্টনার হওয়ার কারণে থ্যালিসের এই সলিউশন ইতিমধ্যে বিল্ট-ইন সেলুলার সংযোগ সহ অপো’র প্রথম স্মার্টওয়াচ ‘অপো ওয়াচ’-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ব্যবহারকারীর প্রয়োজন এবং অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে অপো ২০১৮ সালে ই-সিম প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা ও বিকাশের কাজ শুরু করে যার ফলশ্রুতিতে তারা ই-সিম- কমপ্যাটিবল বেশ কিছু স্মার্টফোন এবং স্মার্টওয়াচ বাজারে আনে। ৫জি ই-সিম- কমপ্যাটিবল ফোন অপো ফাইন্ড এক্স ৩ প্রো কেবল অপো’র শক্তিশালী প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং দূরর্দৃষ্টি প্রদর্শন করে না, বরং ৫জি নেটওয়ার্কের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে তাদের একনিষ্ঠ বিনিয়োগের চেষ্টার প্রতিফলন ঘটায়।