শাওমি এখন কেবল চীনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড নয়, বাজারে অবস্থানের মানদণ্ডে এটি এখন বিশ্বের এক নম্বর স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানও। জুনে স্মার্টফোন বিক্রির দিক থেকে স্যামসাংকে টপকে বিশ্বের এক নাম্বার স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের জায়গা নিয়েছে চীনা এই প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি গবেষণা সংস্থা কাউন্টারপয়েন্টের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তথ্যটি। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর। তবে, তিন মাসের প্রান্তিক, যেটি স্মার্টফোন বাজারে বিভিন্ন হিসাবনিকাশের সময়ভিত্তিক একক, সে খাতায় এখনও এক নম্বর অবস্থানে স্যামসাং। গোটা দ্বিতীয় প্রান্তিকের ফলাফল আমলে নিলে স্যামসাং এখনও প্রথম স্থান ধরে রেখেছে। শাওমি সেখানে দ্বিতীয়।
জুনে বৈশ্বিক বাজারের ১৭.১ শতাংশ নিজ দখলে রেখেছে শাওমি। অন্যদিকে, স্যামসাংয়ের দখলে ছিল ১৫.৭ শতাংশ, আর অ্যাপলের দখলে ছিল ১৪.৩ শতাংশ।
শাওমি যাত্রা শুরু করে ২০১০ সালে, নিজেদের প্রথম স্মার্টফোন বাজারে আনে ২০১১ সালে। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ৮০ কোটিরও বেশি স্মার্টফোন বিক্রি করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডিজিটের এক প্রতিবেদন বলছে, ভারতে কিছুদিন ধরেই সর্বোচ্চ বিক্রিত স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের স্থানটি ধরে রেখেছে চীনা এ প্রতিষ্ঠানটি। স্যামসাংকে বিক্রির দিক থেকে প্রথমে ইউরোপ এবং পরে গোটা বিশ্বে পেছনে ফেলে দিয়েছে তারা।
বিশ্বে স্মার্টফোন বাণিজ্যে ভারত এখন সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল বাজারগুলোর একটি।
কাউন্টারপয়েন্টের প্রতিবেদন বলছে, এ প্রান্তিকে হুয়াওয়ের পড়তির বিষযটি উল্লেখযোগ্যভাবে শাওমির প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। আফ্রিকা, চীন, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যে হুয়াওয়ে এবং অনার ব্র্যান্ডের কারণে তৈরি হওয়া শূন্যস্থান পূরণের কাজ শাওমি ভালোভাবেই সামলিয়েছে।
রেডমি ৯, রেডমি নোট ৯ এবং রেডমি কে সিরিজ-ও চীনে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া পেয়েছে বলে জানিয়েছে ডিজিট।
কাউন্টারপয়েন্টের প্রতিবেদন বলছে, ভিয়েতনামের পরিস্থিতি ঠিক হওয়ার আগ পর্যন্ত শাওমি নিজেদের এ অবস্থান আরও কিছুদিন উপভোগ করবে। বর্তমানে দেশটি মহামারী সামাল দিচ্ছে, এতে সেখানে থাকা স্যামসাংয়ের উৎপাদন ইউনিটের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বাজার আবার খোলার পর স্যামসাং শীর্ষ অবস্থান ফেরত নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মুনাফার দিক থেকে নয়, স্মার্টফোন বিক্রির দিক থেকেই জুনে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে শাওমি। প্রতিষ্ঠানটির এ সাফল্যে ভূমিকা রেখেছে তাদের একেবারেই অল্প লাভে বিক্রিত সাশ্রয়ী রেডমি ফোনগুলো। অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের তুলনামুলকভাবে লাভ বেশি রাখার কথা উল্লেখ করেছে ডিজিট।
নিজেদের আয় হিসাব বিবরণীতে স্যামসাং ২০ শতাংশ বিক্রি বৃদ্ধির খবর জানিয়েছে। বছর-থেকে-বছর হিসেবে মুনাফা ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। অন্যদিকে, অ্যাপলও জুনে রেকর্ড আয় হওয়ার বিষয়ে জানিয়েছে। বছর-থেকে-বছর হিসেব করলে আইফোন বিক্রি বেড়েছে ৫০ শতাংশ।