তৃতীয় পক্ষের ব্যাটারি স্মার্টফোনে ব্যবহার করলে চার্জিং গতি কমিয়ে দেবে শাওমি। সম্প্রতি ‘মি সিকিউরিটি অ্যাপে’ এমন প্রমাণ-ই মিলেছে।
এক্সডিএ ডেভেলপার্স জানিয়েছে, তারা মি সিকিউরটি অ্যাপে এক সেট কোড খুঁজে পেয়েছে। ওই সেটিংয়ে এমন ব্যবস্থা রয়েছে যে ‘মিইউআই ওএস’ কোনো অননুমোদিত ব্যাটারি ক্যামেরার ভেতরে শনাক্ত করলে ব্যবহারকারীকে সতর্কবার্তা পাঠাবে ও চার্জের গতি কমিয়ে দিতে শুরু করবে।
গিজমো চায়না প্রতিবেদন বলছে, সতর্কবার্তায় লেখা থাকবে, শুধু অনুমোদিত সেবাদাতারই ফোনের ব্যাটারি বদলানো উচিত। এ ছাড়াও আরেকটি সতর্কবার্তা বলবে, “অননুমোদিত” ব্যাটারি ডিভাইসের বা ব্যবহারকারীর ক্ষতি করতে পারে।
কোডে আরও দেখা গেছে, নতুন সতর্কবার্তা শুধু চীনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে এবং মি ৯, মি ১০ এবং মি ১০ প্রো এর মধ্যে সীমিত থাকবে। তবে, প্রতিষ্ঠানটি চীনে এ সতর্কবার্তা দেখাতে শুরু হয়েছে কি না সে ব্যাপারটি এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
ভবিষ্যতে অন্যান্য বাজারের জন্যও শাওমি এই ফিচার আনবে কি না, সে বিষয়টিও এখনও ধোঁয়াটেই রয়ে গেছে। এক্সডিএ ডেভেলপার্স ও গিজমো চায়নার প্রতিবেদন যে মডেলগুলোর নাম বলছে, সেগুলোতে রয়েছে ‘ফার্স্ট চার্জিং প্রযুক্তি’। তৃতীয় পক্ষের ব্যাটারির ওই প্রযুক্তি সামলানোর মতো সক্ষমতা না-ও থাকতে পারে। ফলে ব্যাটারি ফুলে যাওয়া, গরম হয়ে যাওয়া, লিক করার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। শাওমি হয়তো সেগুলোই থামাতে চাইছে।
গিজমো চায়না বলছে, সতর্কবার্তা জানানো এক বিষয়, আর চার্জিং গতি কমানো সম্পূ্র্ণ আরেক ব্যাপার। এক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের ব্যাটারি ফোনে ব্যবহার করা মাত্র ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে গেছে ফোনগুলোর। ফলে কোনো ক্ষয়ক্ষতির জন্য শাওমিকে দায়ী করা যাবে না।
প্রতিষ্ঠানটি আদৌ তৃতীয় পক্ষের ব্যাটারি কীভাবে শনাক্ত করবে, সেটিও ভেবে দেখার মতো ব্যাপার। যেমন- মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের ডিভাইসে এ সংক্রান্ত সতর্কবার্তা ‘ট্রিগার’ হয় একটি ‘মাইক্রো-কন্ট্রোলার’ এর মাধ্যমে। ওই মাইক্রো-কন্ট্রোলারটি শুধু অনুমোদিত অ্যাপল প্রযুক্তিবিদরাই কনফিগার করতে পারে। শাওমি’ও হয়তো একই ধরনের প্রক্রিয়া নিয়ে আসছে।
শাওমি কেন এই পথে হাঁটছে এবং এই ফিচার চীনের বাইরে ইউরোপ ও ভারতের মতো বাজারে আসবে কি না, সে ব্যাপারে শাওমি এখনও কিছু জানায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটি হয়তো এ ব্যাপারে বিবৃতি দেবে।