সম্প্রতি বাজারে এসেছে অলরাউন্ডার ফোন অপো এ১৬। স্বল্প বাজাটের ফোনটি আসার অতি স্বল্প সময়ের মধ্যেই গ্রাহকরা লুফে নিচ্ছেন। বিশাল ব্যাটারি, ট্রিপল ক্যামেরা, অসাধারণ ডিজাইন, দুর্দান্ত পারফরমেন্স, বড় স্টোরেজ সর্বোপরি ভালো পারফরমেন্সের কারণে বাজারে সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য ফোনগুলোর মধ্যে নিজের শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে এ১৬।
প্রথমেই এ১৬ এর ক্যামেরার দিকে নজর দেওয়া যাক। এমনিতেই ক্যামেরার জন্য অপো ফোনের আলাদা সুনাম রয়েছে। এ১৬ ফোনটিও তার ব্যতিক্রম নয়। কারণ অল্প বাজেটের ফোনটিতে রাখা হয়েছে ট্রিপল ক্যামেরা। ফটোগ্রাফি করার জন্য ফোনটির রিয়্যার ক্যামেরা রাখা হয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেলের। বাকি দুটি ক্যামেরা ২ মেগাপিক্সেল ও প্রতিটির ফোকাল লেন্স ২.৪ করে। রয়েছে এলইডি ফ্লাশ, এইচডিআর, প্যানোরামার মতো দারুণ কিছু ক্যামেরা ফিচার। সেলফি প্রিয়দের জন্য রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা সেলফি ক্যামেরা। সামনে ও পেছনের উভয় ক্যামেরাই স্মার্ট বিউটিফিকেশন ফিচার সমর্থন করে।
আছে ম্যাক্রো লেন্সের মতো দারুণ ফিচার যা দিয়ে আরো সূক্ষ্মভাবে ছবি তোলার ক্ষেত্রে নিজের সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ রয়েছে। ছবিও হবে আরো নিখুঁত ও সংবেদনশীল। ম্যাক্রো লেন্স হলো ছোট বা ক্ষুদ্র কোন বস্তুর ছবি যা খুব কাছ থেকে তোলা যায়। এটি স্বাভাবিক লেন্সগুলোর চেয়ে আরো কাছাকাছি ফোকাস করে সাবজেক্টের সাথে ফ্রেম পূরণ করে বিশদ ক্যাপচার করতে পারে। ফলে বস্তু ছোট হলেও বড় ছবি পাওয়া যায়। ম্যাক্রো লেন্স দিয়ে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করা যায় অবলীলায়। এই মোডে ১ ইি র কম দুরত্বে ছবি উঠানো যায়। অর্থাৎ ক্যামেরার লেন্সকে একটি ফুলের গায়ে লাগিয়ে ছবি উঠাতে পারেন। যদি ক্যামেরায় ম্যাক্রো মোড না থাকে তাহলে সেটা সম্ভব না।
ফোনটির আরেকটি ফিচারের কথা না বললেই না। সেটি হচ্ছে এর ৫০০০ এমএইচ এর বিশাল ব্যাটারি। একবার চার্জেই সারাদিন ইন্টারনেট ব্রাউজ, গেম খেলা, ছবি তোলা, ভিডিও দেখা, কথা বলা সবই করা যাবে। বারবার চার্জ নিয়ে বাড়তি চিন্তা করতে হবে না। আবার চার্জ হবে দ্রুত। আছে নাইট চার্জ মোড যার মাধ্যমে রাতে নিশ্চিন্তে ফোন চার্জ দিয়ে রাখা যাবে। ওভারচার্জিং বা ফোন গরম হওয়ার কোন ভয় নেই।
হালকা-পাতলা গড়নের ফোনটির রয়েছে দুটি ভার্সন। একটি ৩ জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি রম। অন্যটির ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি রম। এ১৬ (৩জিবি) ভার্সনের দাম ধরা হয়েছে ১২,৯৯০ টাকা ও এ১৬ (৪জিবি) ভার্সনের ফোনটির দাম ধরা হয়েছে ১৪,৯৯০ টাকা। স্লিক ডিজাইনের এ১৬ ফোনের আরেকটি বিশেষত্ব সাইড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর যা দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। এটি দিয়ে হাতের ছোঁয়ায় মুহুর্তেই আনলক করা যাবে। এই বাজেটের মধ্যে এসব সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে এ সিরিজের ফোনগুলোর জুঁড়ি নেই।
অপো জানায়, এন্ট্রি লেভেলের ফোনটি বাজারে আসার পর থেকে তারা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সাড়া পাচ্ছেন। আগামীতে ক্রিস্টাল ব্লাক ও স্পেস সিলভার এই দুই কালারের ফোনটি আরো মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।