বাংলাদেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এবার বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য ‘গো গ্লোবাল’ স্লোগানে তারা নির্ধারণ করেছে ‘ভিশন-২০৩০’। অর্থাৎ আগামি নয় বছর বা ২০৩০ সালের মধ্যে গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম হবে বাংলাদেশের ওয়ালটন। এমন দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট খ্যাত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মুর্শেদ।
বুধবার রাতে (২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১) সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের হোটেল প্রেসিডেন্ট উইলসনের বলরুমে অনুষ্ঠিত রোড শো’র সমাপনী অধিবেশনে ধন্যবাদ জ্ঞাপনকালে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম মুর্শেদ এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ‘ইনভেস্টর সামিট: বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেটস’ শীর্ষক ওই রোড শো’র আয়োজন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
রোড শো’তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি, জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সেক্রেটারি এন এম জিয়াউল আলম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সেক্রেটারি আব্দুর রউফ তালুকদার, যুগ্ম সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী, বেপজার এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ নজরুল ইসলাম, সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস, বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহম্মেদ, নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
গোলাম মুর্শেদ বলেন, এক যুগ আগেও মানুষকে প্রতিবেশির বাড়ির রেফ্রিজারেটরে খাবার সংরক্ষণের জন্য যেতে হতো। যা তাদের জন্য ছিলো অবমাননাকর। কারণ অন্যের বাড়ির ফ্রিজে খাবার রাখতে গিয়ে অনেক সময়ই কটু কথা শুনতে হতো। কিন্তু ১২ বছরের মধ্যে সেই চিত্র পাল্টে গেছে। বাংলাদেশের সব শ্রেণীর মানুষই এখন রেফ্রিজারেটর কেনার সামর্থ অর্জন করেছে। কারণ বর্তমানে রেফ্রিজারেটরসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য মূল্য সাশ্রয়ী। যা সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারপ্রধান এবং সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষদের নেয়া সময়োপযোগী পদক্ষেপগুলোর কারণে।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। যা তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করছেন। বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলার স্বপ্ন সফল করতে আমরা কাজ করছি। আমি সবাইকে আশ্বস্ত করছি আগামি নয় বছরে গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম হবে বাংলাদেশের ওয়ালটন। আসুন বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সবাই একযোগে কাজ করি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি, বিনিয়োগ সুযোগ-সুবিধা এবং উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘দি রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পটেনশিয়ালস অব ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক রোড শো করছে বিএসইসি। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সুইজারল্যান্ডের জুরিখে রোড শোর প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। বিএসইসির ওই আয়োজনে অন্যতম সহযোগি ওয়ালটন।
রোড শো’তে সম্পৃক্ততার জন্য বিএসইসি চেয়ারম্যান ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান।