শাওমি এবং আইকিউওও মোবাইল দুটি নিয়ে আজকে আমরা তুলনা করব। সেই ফোনগুলো হল শাওমি ১১ টি এবং আইকিউওও ৯ প্রো নিয়ে। ফোন দুটির মাঝে মূল্যের অনেকটাই তারতম্য রয়েছে তবে ফিচারের ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেছে। আলাদা আলাদা ফিচারে সাজানো হয়েছে ফোন দুটি। একেক ফোনটিতে একেক রকম সুবিধা বেশি পাওয়া যাবে। চলুন তুলনা করা যাক মোবাইল ২ টির মধ্যে।
প্রথমেই আলোচনা করা যাক ডিসপ্লে সেকশন নিয়ে।
শাওমি ১১ টিঃ উক্ত মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চি বিশিষ্ট অ্যামোল্ড ডিসপ্লে যার স্ক্রিন রেজুলেশন দেওয়া হয়েছে ১০৮০X২৪০০ পিক্সেল। এছাড়া এই ফোনটিতে দেওয়া হয়েছে ১২০ হার্জ এর রিফ্রেশ রেট। উক্ত ফোনটির পি পি আই ডেনসিটি দেওয়া হয়েছে ৩৯৫। কর্নিং গরিলা গ্লাস ভিক্টাস এর নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে ফোনটিতে।
আইকিউওও ৯ প্রোঃ উক্ত মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চি বিশিষ্ট অ্যামোল্ড ডিসপ্লে যার স্ক্রিন রেজুলেশন দেওয়া হয়েছে ১৪৪০X৩২০০ পিক্সেল। এছাড়া এই ফোনটিতে দেওয়া হয়েছে ১২০ হার্জ এর রিফ্রেশ রেট। উক্ত ফোনটির পি পি আই ডেনসিটি দেওয়া হয়েছে ৫৭১।
এবার আলোচনা করা যাক মোবাইলগুলোর বডি নিয়ে।
শাওমি ১১ টিঃ এই মোবাইলটির আয়তন হবে ১৬৪.১X৭৬.৯X৮.৮ মিলিমিটার এবং ওজন হবে মাত্র ২০৩ গ্রাম।
আইকিউওও ৯ প্রোঃ উক্ত মোবাইলটির আয়তন হবে ১৬৪.৮X৭৫.২X৮.৮ মিলিমিটার এবং ওজন হবে মাত্র ২০৪ গ্রাম।
এবার আলোচনা করা যাক মোবাইলগুলোর হার্ডওয়্যার সেকশন নিয়ে।
শাওমি ১১ টিঃ উক্ত মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ১২০০ ৫জি অক্টাকোর প্রসেসর। জি পি ইউ দেওয়া হয়েছে মালি- জি ৭৭ এম সি ৯। এই মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮/২৫৬ জিবি ফোন স্টোরেজ এছাড়া। এখানে আরো দেওয়া হয়েছে ৫,০০০ এম এ এইচ এর ব্যাটারি, ৬৭ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং, ওয়াই ফাই ৬, ব্লুটুথ ৫.২, ফেস আনলক সহ নানাবিধ সুবিধা। ডুয়েল সিম ব্যবহার করা যাবে এই ফোনটিতে। অ্যান্ড্রোয়িড ভার্সন ১১ দেওয়া হয়েছে এই ফোনটিতে।
আইকিউওও ৯ প্রোঃ এই মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ অক্টাকোর প্রসেসর। এই মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ৮/১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬/৫১২ জিবি ফোন স্টোরেজ। এছাড়া এখানে আরো দেওয়া হয়েছে ৪,৭০০ এম এ এইচ এর ব্যাটারি, ১২০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জ, ৫০ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং, ১০ ওয়াটের রিভার্স চার্জিং, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস আনলক ওয়াই ফাই ৬, ব্লুটুথ ৫.২ এর সুবিধা। ডুয়েল সিম ব্যবহার করা যাবে এই ফোনটিতে। অ্যান্ড্রোয়িড ভার্সন ১২ দেওয়া হয়েছে এই ফোনটিতে।
এবার আলোচনা করা যাক ফোনগুলোর ক্যামেরা সেকশন নিয়ে।
শাওমি ১১ টিঃ উক্ত মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটাপ যার প্রাথমিক ক্যামেরাটি হবে ১০৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড, একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড ও অপরটি হবে ৫ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো সেন্সর। সাথে দেওয়া হয়েছে ট্রিপল এল ই ডি ফ্ল্যাশ। এখানে ফ্রন্ট ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সলের। প্রত্যেক ক্যামেরাতেই ১০৮০ পি ৩০ এফ পি এস এর রেকর্ডিং করা যাবে। উভয় ক্যামেরাতেই থাকবে এইচ ডি আর, পোরট্রেইট, প্যানোরামা,গাইরো- ই আই এস, লেজার অটোফোকাস, ৪কে ভিডিও রেকর্ডিং, এ আই ক্যামেরা এর সুবিধা।
আইকিউওও ৯ প্রোঃ এই মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটাপ যার ক্যামেরাগুলো হবে ৫০ মেগাপিক্সলের ওয়াইড, ১৬ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো এবং অপরটি হবে ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি আল্ট্রাওয়াইড সেন্সর। সাথে দেওয়া হয়েছে ট্রিপল এল ই ডি ফ্ল্যাশ। এখানে ফ্রন্ট ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের সেন্সর। উভয় ক্যামেরাতে ১০৮০ পি ৩০ এফ পি এস এর রেকর্ডিং করা যাবে। প্রত্যেক ক্যামেরাতেই থাকবে এইচ ডি আর, প্যানোরামা, ও আই এস, ফেস বিউটি, টাইমলেপস এবং পোরট্রেইট মোড এর সুবিধা।
এবার আলোচনা করা যাক মূল্য নিয়ে।
শাওমি ১১ টিঃ এই মোবাইলটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০,০৩২ টাকা।
আইকিউওও ৯ প্রোঃ এই মোবাইলটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৮,১২৫ টাকা।
এখানে ফোন দুটির মাঝে মূল্যের খুব বেশি তারতম্য রয়েছে এবং ফিচারের ও ভিন্যতা বেশ রয়েছে। দুইটি ফোনের ফিচারই দেওয়া হয়েছে অসাধারণ। তবে আমার ব্যক্তিগতভাবে শাওমি ১১ টি মোবাইলটি বেশি ভাল লেগেছে কারণ এর ফিচারটি দেওয়া হয়েছে অত্যাধুনিক এবং মূল্য অপর ফোন অপেক্ষা অনেকটা কম।