প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের সেবা করা এমন ধারণাকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অপো। ‘টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে চালু হওয়া ‘স্টোরিজ অফ হিরোইক পিপল’ অপোর তেমনি একটি উদ্যোগ। আর এই উদ্যোগের সফল সমাপ্তি ঘটে যখন অপো বাস্তবের নায়কদের সাথে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
এরই অংশ হিসাবে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) অপো বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনজনের হাতে চেক হস্তান্তর করে। এর মাধ্যমে অপোর ‘স্টোরিজ অব হিরোইক পিপল’ ক্যাম্পেইনের ইতি টানা হলো।
এসময় অপো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং, হেড অব ব্র্যান্ড লিউ ফেং, বুরো বাংলাদেশের প্রোগাম কোর্ডিনেটর মোখলেসুর রহমান ও সিনিয়র ম্যানেজার (অপারেশনস) নোশন তারাননুম উপস্থিত ছিলেন।
‘ইন্সপায়ারিং এহেড’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত ১২ ডিসেম্বর চালু করে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অপো। ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে এই তিনজনকে বাছাই করা হয়। অপো জনপ্রিয় মডেল রেনো ৬ দিয়ে ছবি তোলার এ ক্যাম্পেইন চলে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ে অপোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সংগ্রামী মানুষের গল্পগুলো স্বত:স্ফূর্তভাবে শেয়ার করেন অপো ভক্তরা। অসংখ্য গল্পের মধ্যে অপো সেরা তিনজনকে বেছে নেয়। উল্লেখ্য, সিনেম্যাটিক বোকেহ ফ্লেয়ার পোর্ট্রটে সমৃদ্ধ রেনো ৬ অপোর ফ্লাগশিপ ফোনগুলোর মধ্যে অন্যতম। শক্তিশালী পারফরমেন্স ও উন্নত ব্যাটারির ফোনটি সারাবিশ্বেই আলাদা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
আজকের প্রোগামে পুরস্কৃত হওয়া তিনজন হলেন দুলাল স্যার, রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও সাজেদুল ইসলাম। তিন গল্পের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দুলাল স্যারের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে অমানুষিক নির্যাতনের গল্প। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে বেঁচে গিয়ে তিনি আবার দেশপ্রেমে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। এরপর ৬৫ বছর বয়সী দুলাল স্যার নিজ এলাকায় সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিতকরণে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ নির্মাণ করেন। অনির্বাণ বিদ্যালয়ে তিনি নিজেও শিক্ষার্থীদের পড়ান।
দ্বিতীয় পুরস্কৃত হওয়া গল্পটি হচ্ছে ৭০ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রাম্য ডাক্তার রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের। তার বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায়। তিনি একাত্তরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিতেন। সেই থেকে আজ অবদি তিনি মানব চিকিৎসায় আত্মনিয়োগ করে যাচ্ছেন। দরিদ্র অসহায় মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় তার নাম না থাকলেও তিনি হতাশ নন। কারণ স্বীকৃতির চেয়ে তার কাছে মানবকল্যাণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তৃতীয় ও শেষ সম্মানিত ব্যক্তি হচ্ছেন সাজেদুল ইসলাম। তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিজেকে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকা-ে যুক্ত রেখেছেন। তিনি নিজে রক্ত দেন ও অন্যদের রক্ত দিতে উৎসাহিত করেন। করোনাকালীন সময়ে তিনি গোপালগঞ্জ বন্ধু মহলের সঙ্গে একত্রিত হয়ে মুমূর্ষু রোগীদের বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করে সর্বমহলে প্রশংসা কুঁড়ান।
অপো জানায়, হাজার হাজার গল্পের মধ্য থেকে বাছাই করা এই তিনজনের গল্প ভার্চুয়াল অনলাইন আর্ট কালেকশন অপো গ্যালারিতে সংরক্ষণ করা হবে। যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম তাদের বীরত্ব গাঁথার গল্প জানতে পারে, জানাতে পারেন। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জাতীয় স্বাথে নিজেদের বিলিয়ে দিতে পারেন। অপো আরো জানায়, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের কথা বিবেচনা করে তারা ভবিষ্যতেও এমন আরো ক্যাম্পেইন চালু করার কথা ভাবছে।