আপনি যদি এমন ফোন চান যার ক্যামেরা হবে একেবারে সেরা, যা কম আলোতেও স্পষ্ট ছবি তুলতে পারবে, আর যার ব্যাটারি আপনাকে কখনই সমস্যায় ফেলবে না, তাহলে আপনার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি সেরা স্মার্টফোন অপো এফ১১ প্রো
।
আর আপনাকে যদি আমি বলি এই ফোনের দাম ২৫ হাজার টাকার কম, তাহলে আমি নিশ্চিত আপনি অবাক হবেনই! অপ্পোর একেবার লেটেস্ট স্মার্টফোনের দাম কেবল ২৪,৯৯৯ টাকা, যা নিয়ে চারদিকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে, বিশ্বাস করতে পারছেন না গ্যাজেট প্রেমীরা। এটা কি সত্যিই অতুলনীয় ফোন? চলুন অপো এফ১১ প্রো এর ফিচারগুলি দেখে নেওয়া যাক, যা এই ফোনকে আজকের স্মার্টফোন প্রেমীদের পছন্দের তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতে নিয়ে গেছে।
১. ক্যামেরা: বর্তমানে, সকলেই চান নিজের পকেটে DSLR ক্যামেরার মত ছবি তোলা যায় এমন মোবাইল রাখতে, আর অপো এফ১১ প্রো -তে রয়েছে একেবারে ঠিক এই বৈশিষ্ট্যই, যাতে রয়েছে ৪৮এমপি ক্যামেরা। এর এক্সক্লুসিভ ম্যাপিং কার্ভ এবং পিক্সেল-গ্রেড কালার ম্যাপিং অ্যালগরিদম আপনাকে দেবে প্রাণবন্ত এবং ভাইব্রান্ট পিকচার। আর অপ্পোর এক্সক্লুসিভ এআই ইঞ্জিন এবং আল্ট্রা – ক্লিয়ার ইঞ্জিন একাধিক ভাবে ছবিকে অপ্টিমাইজ করে আপনাকে দেবে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার পোর্টেট এফেক্ট।
এর মটোরাইজড রাইজিং ক্যামেরা দ্রুত ফোকাস করে, আর ছবিগুলি হয় ব্রাইট ও ক্লিয়ার, তা দিন অথবা রাত যেকোন আলোতেই তোলা হোক না কেন। ফোনের স্ক্রিন ফ্ল্যাশ ফাংশনালিটির জন্য ১৬ এমপি সেন্সর ক্যামেরার সঙ্গে আপনি সবসময় লো লাইটেও দুর্দান্ত ছবি তুলতে পারবেন, সাথে থাকবে মটোরাইজড রাইজিং অ্যাসপেক্ট। রাইজিং ক্যামেরাটি একেবারে মাঝে থাকে, এটি ছবির বিকৃতি প্রতিরোধ করে, সেলফিকে করে আরও ন্যাচেরাল। অন্যদিকে ফ্রন্ট ক্যামেরাটি হয় ট্রান্সপারেন্ট রাউন্ডেড কার্ভ ডিজাইনের, যা এই হ্যান্ডসেটটিকে স্বতন্ত্র রূপ দিয়েছে। OPPO মোবাইল ফোনের জগতে প্রথমবার কাজে লাগিয়েছে ন্যানো প্রিন্টিং টেকনিক, যার ফলে ইঙ্ক-ওয়াশ পেইন্টিং-এর এফেক্ট তৈরি হয়।
এতে রয়েছে বহু চর্চিত পোর্টেট মোড, যা আপনার ছবিগুলিকে দেবে প্রফেশনাল টাচ। আর কী চাই, আপনি ফোনের বিউটি ফিচার ব্যবহার করে নিজের ছবিগুলিকে নিখুঁত করে তুলুন, আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে দিন।
২. ব্যাটারি লাইফ: দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে আধুনিক জীবন, আপনার কাছে করার জন্য রয়েছে অনেক কাজ, কিন্তু সময় অল্প। আর সময়ের এই স্বল্পতার কারণে আপনি চান ফোন দ্রুত চার্জ হোক। অপো এফ১১ প্রো হল এমন এক স্মার্টফোন যাতে দ্রুত ডাউনলোড করা যায় আর চার্জিং-এর সময় লাগে অল্প, যা আপনাকে বিনোদনের জন্য অনেকটাই সময় দেয়। ৪ হাজার এমএএইট ক্যাপাসিটির সঙ্গে এটি আপনাকে বড় এবং উন্নত ব্যাটারি সরবরাহ করে, পাশাপাশি VOOC 3.0 প্রযুক্তির কারণে চার্জ হয় অতি দ্রুত। ক্যামেরা ব্যবহারের পরও অপো এফ১১ প্রো ১৫.৫ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ দেয়; একটানা ভিডিও দেখা যায় ১২ ঘণ্টা ধরে; ৫.৫ ঘণ্টা ধরে মোবাইল গেম খেলা যায় এবং ১২ ঘণ্টা ধরে একটানা মিউজিক শোনা যায়, যা এই ফোনকে বানিয়েছে চিত্তাকর্ষক এবং আধুনিক প্রজন্মের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সেরা উপহার।
৩. গেমিং এক্সপেরিয়েন্স: এতে রয়েছে লেটেস্ট অক্টা-কোর হেলিও পি৭০ গেমিং চিপসেট, যা গেম প্রেমীদের উপহার দেয় ইমপ্রেসিভ ভিসুয়াল, আর PUBG মত উচ্চ গতির গেম খেলার সময় আপনাকে হঠাত করে আটকে পড়ার মত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় না। ৬জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের সঙ্গে এতে রয়েছে তাপ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, যার ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে গেম খেললেও ফোনটি গরম হয়ে ওঠে না। ফলে আপনি নিশ্চিন্ত ভাবে দীর্ঘ সময় ধরে গেম খেলার মজা নিতে পারেন।
৪. ডিজাইন: এই ফোনের লোভনীয় চেহারা এবং প্রিমিয়াম ফিনিস সকলকেই মুগ্ম করে, যদিও এর দাম ২৫,০০০ টাকার নীচে, যা বিস্ময় তৈরি করার জন্য যথেষ্ট। কেবল দেখার দিক দিয়েই নয় ওজনে হালকা হওয়ার কারণে হাতে ধরে রাখার ক্ষেত্রেও ফোনটি সুবিধাজনক, তাই এবার আপনার ভারী ফোনটিকে বিদায় বলার সময় এসেছে। দুটি ইউনিক কালারে ফোনটি উপলব্ধ – আরোরা গ্রিন এবং থান্ডার ব্ল্যাক, যার ফলে অপ্পো এফ ১১ প্রো হয়ে উঠেছে স্টাইল স্টেটমেন্ট।
অপো এফ১১ প্রো এর ডিসপ্লে ৬.৫ ইঞ্চি, সঙ্গে ৯০.৯% স্ক্রিন রেশিও, এর ফলে রাইজিং ক্যামেরা দিয়ে আপনি নিজের পছন্দ মত ছবি তুলতে পারবেন, সঙ্গে পাবেন পুরোপুরি HD+ কনটেন্ট দেখার অভিজ্ঞতা। এতে রয়েছে IPS LCD প্যানেল, যা ১০৮০ ×২৩৪০ পিক্সেল রেজোলিউশনে ভিসুয়াল দেখার অভিজ্ঞতা দেয়।
৫. এআই এন্ড ফিচার: এতে রয়েছে শক্তিশালী ক্লাউড সার্ভিস প্যাকেজ, ড্রয়ার মোড, সহজ নেভিগেশান সিগন্যাল, স্মার্ট রাইডিং মোড এবং এফিশিয়েন্ট স্মার্ট অ্যাসিস্টেন্ট। অপো এফ১১ প্রো -তে রয়েছে সেই AI যা মেমোরি ম্যানেজমেন্ট করতে এর ব্র্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপগুলিকে ফ্রোজেন অবস্থায় রাখে। ক্লাউড স্টোরেজ স্পেস উন্নত হওয়ার কারণে ব্যবহারকারীকে তাঁর নিজস্ব কনট্যাক্ট এবং ফটো ডিলিট করতে হয় না।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ক্লাউড সার্ভিসের মধ্যে রয়েছে ফটো সিঙ্ক, ভিডিও সিঙ্ক, অ্যালবাম শেয়ারিং, বুকমার্ক সিঙ্ক, নিউজ সিঙ্ক (কেবলমাত্র ভারতে), কল রেকর্ডিং সিঙ্ক, ওয়াইফাই কি সিঙ্ক, এসএমএস ব্যাকআপ এবং রিস্টোর, জেনারেল সিস্টেম সেটিং ব্যাকআপ এবং রিস্টোর, কল হিস্ট্রি ব্যাকআপ এবং রিস্টোর।
অপ্রোয়জনীয় প্রমোশন অথবা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট যাতে ব্যবহারকারীকে না দেখতে হয় তার জন্য অপো এফ১১ প্রো -তে OPUSH অ্যাক্সেস রুল এবং অ্যানড্রয়েড নোটিফিকেশন প্রায়োরিটিজ ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে কম গুরুত্বপূর্ণ নোটিফিকেশনগুলি আসা বন্ধ হয়।
অপো এফ১১ প্রো এর স্মার্ট ডুয়াল চ্যানেল নেটওয়ার্ক “দুর্বল সিগন্যাল” সমস্যার সমাধান করে এর স্মার্ট অ্যান্টেনা অ্যালগরিদমের সঙ্গে (ওপর এবং নীচে সুইচিং, বাম এবং ডান সুইচিং, ল্যান্ডস্কেপ এবং পোর্টেট সুইচিং, ইত্যাদি) প্রদান করে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক।
৬. পকেট ফ্রেন্ডলি প্রাইস: স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রিতে মিডরেন্জের মধ্যে অপো নিয়ে এসেছে এক ইমপ্রেসিভ হ্যান্ডসেট, যাতে ‘কোয়ালিটির সঙ্গে রয়েছে অ্যাফোর্ডেবিলিটি’। প্রিমিয়াম ডিজাইন, ৪৮ এমপি ক্যামেরা, মটোরাইসড রাইজিং ক্যামেরার সঙ্গে অ্যামেজিং ব্যাটারি লাইফ, অপো এফ১১ প্রো -কে সন্দেহাতীত ভাবে বাজারে থাকা স্মার্টফোনগুলির মধ্যে করে তুলেছে সেরা।
তাই আপনার পকেটের সামর্থ্যের মধ্যেই এবার লাক্সারি হাই গ্রেড এক্সপেরিয়েন্সের মজা নিন।