দেশের স্মার্টফোন বাজারে বিক্রির হিসেবে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শীর্ষে পৌঁছেছে শাওমি। স্থানীয় বাজারে তিন মাসে বিক্রি হওয়া সকল স্মার্টফোনের মধ্যে ২৮.৮ শতাংশ ছিল চীনা কোম্পানিটির।
বাংলাদেশের বাজারে চীনা এই ব্র্যান্ডের এটিই প্রথম এ ধরনের অর্জন।
বাংলাদেশের বাজারে শাওমির এ সাফল্যের খবর উঠে এসেছে কাউন্টির পয়েন্ট রিসার্চের প্রতিবেদনে। বাজার গবেষক সংস্থাটি জানিয়েছে, শাওমির শীর্ষস্থান অর্জনের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে কোম্পানিটির সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোন মডেলগুলো। এ ছাড়াও, ‘পোকো’ ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনগুলোর শাওমির স্মার্টফোন হিসেবেই বিবেচনায় নিয়েছে কাউন্টার পয়েন্ট।
শাওমির শীর্ষস্থান দখলের খবরের পাশাপাশি বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চ। দেশের বাজারে দ্বিতীয় প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় স্মার্টফোনের সরবরাহ কমেছে তিন শতাংশ।
সরবরাহ কমার কারণ হিসেবে মুদ্রাস্ফীতি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিকে চিহ্নিত করেছে গবেষণা সংস্থাটি। বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিতিশীলতার মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলক স্থিতিশীল থাকলেও ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা কমার কথা বলেছে কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চ।
আধুনিক স্থানীয় কারখানায় উৎপাদন এবং সাশ্রয়ী দামের মডেলগুলোর চাহিদার কারণেই বাংলাদেশের বাজারে শাওমির শীর্ষস্থান দখল করতে পেরেছে বলে মনে করেন কাউন্টার পয়েন্টের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক করণ চৌহান।
ঈদের সময়ে স্মার্টফোনের বিক্রি লক্ষণীয় হারে বাড়লেও পরের মাসগুলোতে উৎপাদন কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি এবং স্মার্টফোনের ওপর বাড়তি কর আরোপের ফলে বেড়েছে স্মার্টফোনের দাম, কমেছে চাহিদা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রির হিসেবে শাওমির পরেই আছেই দক্ষিণ কোরিয়ার ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট স্যামসাং। দেশের বাজারে দ্বিতীয় প্রান্তিকের তিন মাসে বিক্রি হওয়া সকল স্মার্টফোনের মধ্যে ১৭.৩ শতাংশ ছিল স্যামসাংয়ের। আর বাজারের ১০.১ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে ভিভো।