সেলফোন চিপ শিল্পে অ্যাপলের বায়োনিক সবসময়ই শীর্ষে। শক্তিশালী ও কার্যকর চিপের কথা উঠলে বায়োনিকের কথাই প্রথমে আসে। এমনকি এ১৫ বায়োনিক অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের অন্যান্য চিপের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর। এ১৬ চিপ স্ন্যাপড্রাগন ৮প্লাস জেন১-কেও ছাড়িয়ে গেছে। তবে স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন২ এবার বাজিমাত করবে। এমনটাই প্রত্যাশা বিশ্লেষক ও প্রযুক্তিবিদদের।
সম্প্রতি গোল্ডেনরিভিউয়ার শাওমি ১৩ এ পরীক্ষা চালিয়েছে। ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন২ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে এবং পারফরম্যান্সের দিক থেকে এটি ৮ জেন১ ও ৮প্লাস জেন১-কে ছাড়িয়ে গেছে। চিপসেটটির সামগ্রিক কার্যক্ষমতা ১০ শতাংশ বেড়েছে। তবে এর কোরের শক্তি ৮প্লাস জেন১-এর মতোই। তাই ব্যাটারি লাইফ ও ফোন গরম হয়ে যাওয়া নিয়ে ব্যবহারকারীদের ভাবতে হবে না।
গোল্ডেনরিভিউয়ার জানায়, শাওমি ১৩-তে ব্যবহূত স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন২-এর সিপিইউ বেশি শক্তিশালী। কোরের হিসেবে এ৭১০-এর তুলনায় এ৭১৫ কিছুটা উন্নত।
অন্যদিকে অতিসাম্প্রতিক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, আগামী বছর অ্যাপল এ১৭ বায়োনিক চিপ বাজারজাতের চিন্তা করছে। এতে ব্যাটারি লাইফ ও প্রসেসিং পারফরম্যান্স উন্নয়নের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। মূলত ৫ থেকে ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে স্থানান্তরের কারণেই দেরি হচ্ছে। এর ফলে বিদ্যুৎ বা শক্তির ব্যবহার ৩৫ শতাংশ কমবে।
আগে অ্যাপল এ১৬ চিপে রে ট্রেসিং ফিচার যুক্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সেটি ব্যবহার করা যায়নি।