শাওমি তাদের বানানো বিভিন্ন সিরিজ ও প্রাইস রেঞ্জের স্মার্টফোন তৈরির মাধ্যমে আমাদের এই বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যপী স্মার্টফোন মার্কেটে কিছুটা হলেও জায়গা করে নিয়েছে। এই প্রতিবেদনে আমরা শাওমির Redmi Note 12 Pro ফোন নিয়ে আলোচনা করবো। খুঁটিনাটি দেখবো যে এখানে কী কী আছে। তবে চলুন শুরু করা যাক।
শাওমির এই ফোন গত অক্টোবর মাসে ঘোষণা দেওয়া হয় এবং গত নভেম্বর থেকে এই ফোন এখন অব্দি বাজারে পাওয়া যায়। এই ফোনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো কিছু স্পেসিফিকেশন হলো 6.67 ইঞ্চির ডিসপ্লে, ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, 5000 mAh ব্যাটারি এবং Dimencity 1080 প্রসেসর। তাই আপনি যদি হালকা পাতলা কাজ করে থাকেন তাহলে মোটামুটি সারাদিন ব্যাকাপ পেতে পারেন। এবারে আরও বিস্তারিত ফিচার ও স্পেসিফিকেশন দেখা যাক।
এই ফোনে আপনি পাবেন অত্যাধুনিক 5G নেটওয়ার্ক এর সুবিধা। এই নেটওয়ার্ক আমাদের দেশে এখনো খুব একটা প্রচলিত না হলেও কিছুদিনের মধ্যেই আরও অনেক সুবদিহা পাওয়া যাবে এর মাধ্যমে। আর আপনি চাইলে এতে 2G থেকে শুরু করে 5G পর্যন্ত সর্বোচ্চ দুইটি সিমকার্ড ব্যাবহার করতে পারবেন।
১৮৭ গ্রাম ওজনের এই ফোনে আপনি পাবেন একটা দুর্দান্ত 6.67″ এর OLED ডিসপ্লে। তাই, আপনার যদি মুভি, সিরিজ বা যেকোনো ধরনের মিডিয়া উপভোগ করার ইচ্ছা জেগে থাকে তাহলে আপনার দারুন লাগবে। আবার এই ডিসপ্লের রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্জ হওয়ায় ডিসপ্লে হবে অনেক স্মুথ। তাই গেম খেলা হোক আর মিডিয়া দেখা, দুইটাতে আপনাকে সুন্ডিহা দেবে এই ডিসপ্লে।
মিডিয়ার কথা যখন চলেই আসলো তখন স্টোরেজের কথা বাদ যায় কিভাবে। এখানে বিভিন্ন প্রকারের স্টোরেজ অপশন আপনি পাবেন। আপনি ১২৮ অথবা ২৫৬ গিগাবাইট স্টোরেজ ভার্সন নিতে পারবেন এবং মেমোরির ক্ষেত্রেও বিভিন্ন অপশন আছে। তবে বলে রাখা ভালো, এই ফোনে আপনি কোন মেমোরি কার্ড স্লট পাবেন না। তাই ফোনের মেমোরির ওপরেই নির্ভর করতে হবে।
50 মেগাপিক্সেলের পেছন ক্যামেরা ও 16 মেগাপিক্সেলের সামনের ক্যামেরা থাকায় সেলফি হোক বা অন্য কারো ছবি, ছবি তোলায় আপনি হতাশ হবেন না। পেছনের ক্যামেরা দিয়ে আল্ট্রা এইচডি রেজুলেশনে ৩০ ফ্রেমরেট এ ভিডিও করতে পারবেন আর সামনে ফুল এইচডি রেজুলেশনে। অর্থাৎ ভিডিও কোয়ালিটি হবে দুর্দান্ত।
3.5 মিলিমিটার অডিও পোর্টের সাথে পাবেন ফোনের নিজস্ব স্টেরিও স্পিকার। NFC চিপ সহ ইনফ্রারেড পোর্ট পাওয়া যাবে এই ফোনে। সাইড মাউন্ট ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর দ্বারা নিরাপত্তাকে আরেক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
এই দারুন ফোনকে Type-C চার্জিং এ 67 ওয়াট ফাস্ট চার্জার দিয়ে ৪৬ মিনিট একদম ফুল চার্জ করে ফেলতে পারবেন। মিড রেঞ্জ বাজেটের ফোন হিসেবে এই ফোন আপনার পছন্দের তালিকায় নাম লেখানোর সকল বৈশিষ্ট্য রাখে।