আজকাল আশেপাশে কান পাতলেই শুনতে পাবেন মাথাব্যথা। এই ব্যথা শুরু হতে না হতেই আমরা ঔষধ খেয়ে নেই। তবে মাথাব্যথার আসল কারণ কী ভেবে দেখেছেন? আমরা যারা চাকরি করি, বিশেষ করে ডেস্ক জব করি তাদের দিনের একটি বড় অংশ কম্পিউটার মনিটরের সামনে কাটাতে হয়। শুধু কম্পিউটার নয়, মোবাইলের দিকেও সারাদিন তাকিয়ে থাকা হচ্ছে। আর তার ফলে বাড়ছে চোখের সমস্যা। একটানা অনেকক্ষণ চোখের পেশির উপর চাপ পড়লে চোখ থেকে পানি পড়া, চোখে ব্যথা হওয়া, ক্লান্তি, মাথা যন্ত্রণার মতো নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসকরা বলছেন, চোখের পেশির উপর বাড়তি চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে ‘স্ক্রিন টাইম’ কমাতে হবে। কিন্তু যদি কারও পক্ষে তা করা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে একমাত্র উপায় হল নিয়মিত চোখের ব্যায়াম করা। দিনের যেকোন সময়ে, কাজের ফাঁকে চোখের পাঁচটি ব্যায়াম করতে পারলেই উপকার মিলবে।
৫টি ব্যায়াম হলো:
১) ঘন ঘন চোখের পলক ফেলা
এই পলক ফেলার অভ্যাসও কিন্তু চোখের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে বিচ্ছুরিত তীব্র আলো চোখের উপর এসে পড়লে সমস্যা হতেই পারে। এই সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়ার উপায় হলো বারবার চোখের পলক ফেলা।
২) চোখের মণি ঘোরানো
একটানা চোখের কাজ করলে চোখের পেশির উপর চাপ পড়া স্বাভাবিক। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকেই চোখ বন্ধ করে, চোখের মণি গোল করে চোখের চারদিকে ঘোরান। একবার বাঁ দিক থেকে ডান দিক, আবার ডান দিক থেকে বাঁ দিকে ঘোরানো অভ্যাস করুন।
৩) একটি রেখা বরাবর চোখের মণি উপর-নীচ করা
চোখের মণি গোল গোল করে ঘোরানোর মতোই এই ব্যায়াম করার সময়ে একটি সরলরেখা বরাবর চোখের মণি উপর থেকে নীচে, নীচ থেকে উপরে এবং বাঁ দিক থেকে ডান দিকে আবার ডান দিক থেকে বাঁ দিকে সঞ্চালন করতে হয়। চোখের পাতা বন্ধ করে এই ব্যায়াম অভ্যাস করলেও কিন্তু চোখের কষ্ট অনেকটাই কমে।
৪) গরম সেঁক দেয়া
চোখের উপর গরম সেঁক দিলে অশ্রুগ্রন্থি থেকে পানি বেরিয়ে আসে। চোখের পেশির চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এই পদ্ধতি অনেকটাই সাহায্য করে। চোখে ব্যথা নিয়ে ব্যায়াম করতে না পারলে গরম সেঁক দিয়ে আগে ব্যথা কমিয়ে নিন। তার পর হালকা ব্যায়াম করুন।
৫) হাতের তালু ঘষে চোখের উপর তাপ দেয়া
ইংরেজিতে যাকে বলে পামিং। শুরুতে দুই হাতের তালু ভালো করে ঘষতে থাকুন যতক্ষণ না গরম হয়ে উঠছে। এরপর আলতো করে দু’চোখের পাতার উপর দুই হাতের তালু রাখুন। আরাম পাবেন। অনেকক্ষণ কম্পিউটার বা ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে মাঝেমধ্যেই পামিং করা অভ্যাস করুন।
এছাড়াও এখন চোখের ওপর ক্ষতিকর আলো কম পড়ে এমন কম দামে ভালো মানের কম্পিউটার মনিটর পাওয়া যায়। সেসব মনিটর ব্যবহার করলেও চোখের ব্যথা অনেকটাই কম হয়।