অ্যাপলের জনপ্রিয় প্রযুক্তি পণ্য ‘অ্যাপল পেন্সিলের’ নতুন ভার্সন বাজারে এসেছে। এবারের ভার্সনের উল্লেখযোগ্য ফিচার হল লাইটনিং পোর্টের বদলে ইউএসবি-সি চার্জিং পোর্ট। আইফোনের সর্বশেষ সংস্করণ, আইফোন ১৫’র মতো অ্যাপল পেন্সিলেও এবার ইউএসবি-সি পোর্ট যোগ করা হল। অ্যাপলের অনলাইন স্টোরে ৭৯ ডলার দাম ধরা হয়েছে। তবে দেশ ও বাজারভেদে এই মূল্যে পরিবর্তন আসতে পারে।
মূলত অ্যাপল ডিভাইসের স্ক্রিনে লেখালেখি বা আঁকার কাজে ব্যবহার হয় এই ডিজিটাল পেন্সিল। মূলত অ্যাপলের আইপ্যাড ও আইপ্যাড এয়ারের সঙ্গে এই ডিভাইস ব্যবহার করা যায়।
এখানে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, এতোদিন পর্যন্ত শুধু প্রথম প্রজন্মের আইপ্যাডে অ্যাপল পেন্সিল কাজ করতো। কিন্তু নতুন অ্যাপল পেন্সিল দশম প্রজন্মের আইপ্যাডেও ব্যবহার করা যাবে।
অ্যাপল জানিয়েছে, নতুন পেন্সিলগুলোকে চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে আইপ্যাডের পাশে আটকে রাখা যায়। যার ফলে অ্যাইপ্যাড ও পেন্সিল একসঙ্গেই রাখা যায়।
তবে পেয়ারিং ও চার্জ দেওয়ার জন্য ইউএসবি-সি কেবল ব্যবহার করতে হয়।নতুন ডিভাইসটির এক পাশে চার্জিং পোর্ট যোগ করা হয়েছে। সত্যিকারের কলমের মতো এই ডিজিটাল কলমেও আছে একটি ঢাকনা। ঢাকনা সরালেই দেখা যায় চার্জিং পোর্টটিকে।
কিছু ব্যবহারকারী বলেছেন, নতুন ডিজাইনের কারণে চার্জ দেওয়ার সময় অ্যাপল পেন্সিলের নতুন সংস্করণটি খানিকটা অদ্ভুত দেখায়।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউএসবি-সি পোর্টের আকারের কারণেই ডিজাইনে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
যদিও ইউএসবি-সি পোর্টের অবস্থান কিছুটা পুরাতন ধরনের মনে হলেও পরবর্তীতে ব্যবহারকারীরা ঠিকই বুঝতে পারবেন, এর কারণ ইউএসবি-সি’র আকৃতি। মূল্য বিবেচনায়, আগের যেকোনো পেনসিলের চাইতে নতুন পণ্যটি সাশ্রয়ী। তবে ফিচার বিবেচনা করলে, ওয়ারলেস পেয়ারিং, চার্জিং, প্রেসার সেন্সিবিলিটি, এবং ডাবল টেপ অপশনে ঘাটতি চোখে পড়ে। যা দ্বিতীয় প্রজন্মের পণ্যে ছিল না।
দামের ক্ষেত্রেও এই ডিভাইস ব্যতিক্রমী। এর আগে এতো কম দামে কখনোই অ্যাপল পেন্সিল পাওয়া যায়নি। ফার্স্ট ও সেকেন্ড জেনারেশনের ডিভাইসগুলো যথাক্রমে ৯৯ ও ১২৯ ডলারে বিক্রি হয়েছে। ইউএসবি-সি পেন্সিলে কিছু ফিচার নেই, যেমন ওয়ারলেস পেয়ারিং ও চার্জিং, প্রেশার সেনসিটিভিটি ও ডাবল ট্যাপ অ্যাকশন। তবে এগুলোর কোনোটাই অত গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। আঁকা ও লেখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ফিচারই থাকছে নতুন মডেলে।