সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোস সম্প্রতি তাদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসাবে জো লেভিকে নিয়োগের ঘোষণা করেছে। দীর্ঘ নয় বছর ধরে সফোসের সাথে যুক্ত আছে লেভি। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সফোসের অস্থায়ী সিইও হিসাবে তিনি নিযুক্ত হয়েছিলেন।
সাইবার সিকিউরিটি প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট খাতে এবং নেতৃস্থানীয় পর্যায়ের প্রায় তিন দশকের অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন জো লেভি। সফোস কোম্পানিটিকে একটি পণ্য-কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্বব্যাপী এর সাইবার সিকিউরিটির বিশাল পরিসর তৈরিতে তিনি ভূমিকা রেখেছেন।
মিডমার্কেট সেক্টরে সফোসের গ্রাহক বৃদ্ধি করা নতুন সিইও লেভির এখন অন্যতম পরিকল্পনা। বর্তমানে এই সেক্টরে প্রায় ৬,০০,০০০ গ্রাহক রয়েছে এবং এর বার্ষিক আয় ১.২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এছাড়া, ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার নিরাপত্তা সক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আছেন লেভি, বিশেষভাবে সেই সেক্টরগুলো যেগুলো সাইবার হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। ম্যানেজড সিকিউরিটি প্রোভাইডার(এমএসপি) বা পরিচালিত নিরাপত্তা প্রদানকারী এবং চ্যানেল পার্টনারদের সাথে এই ঝুঁকিগুলো সনাক্তকরণ এবং সাইবার হামলা মোকাবিলা করার উপর গুরুত্ব দেন জো-লেভি।
এমন স্ট্রাটেজিগুলো ত্বরান্বিত করতে নতুন প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) এবং সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্য হিসাবে লেভি নিয়োগ করেছেন জিম ডিলডাইনকে। ডিলডাইন প্রযুক্তি এবং অর্থায়নে ৩০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞ। এর আগে ইম্পার্ভা এবং সিমেনটেকের মতো সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠানে তিনি সিএফও হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন।
জো লেভি সফোসে প্রধানত পরিষেবা এবং উদ্ভাবন খাত প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সফোসের ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম এবং ম্যানেজড ডিটেকশন রেসপন্স (এমডিআর) পরিষেবা তিনি চালু করেছিলেন, যা এখন বিশ্বজুড়ে ২১,০০০ এরও বেশি প্রতিষ্ঠানকে সাইবার সুরক্ষা দিচ্ছে।
এছাড়া, তিনি সফোস-এআই এবং সফোস এক্স-ওপস বিভাগগুলো তৈরি করেছিলেন। এর আওতায় ৫০০জনের বেশি সাইবার সিকিউরিটি অপারেটর এবং থ্রেট ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞরা অপারেশনাল থ্রেট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট হিসেবে কাজ করে।