কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এর সাথে ডেঙ্গু আর মশার সম্পর্ক আছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সাবেক সিস্টেম অ্যাডমিন আজাদুল হক। আজ (২০ জুলাই) তিনি তার ফেসবুকে তিনি এমন একটি স্ট্যাটাস দেন।
আজাদুল হকের স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু দেওয়া হলো-
ঢাকার দুই মেয়রের মশা মারার কথা শুনে কোয়ান্টাম কম্পুউটিং-এর কথা মনে হল। বর্তমানে ঢাকা দক্ষিন আর ঢাকা উত্তরের মেয়র মহোদয়রা যেভাবে মশা মারতে চাচ্ছেন তা হল ক্লাসিক কম্পুউটিং। ক্লাসিক কম্পুউটিং-এর একটা বিট হয় জিরো তা নয়তো ওয়ান অর্থাৎ ডিজিটাল। তাঁরা ভাবছেন মশা হয় উত্তরে তা নয়ত দক্ষিনে। কিন্তু মশার তো ভোটার আইডি, এনআইডি নেই যে তাঁকে একটা নির্দিষ্ট স্থানে থাকতে হবে এবং সেই এলাকার মানুষেরই রক্তপান করতে হবে। সে ইচ্ছে করলে যেখানে ইচ্ছে সেখানে নিয়ে পেট ঠুসে রক্ত খেতে পারে। তাই এই মশা মারতে তাদের ক্লাসিক কম্পুউটিং-এর ধারণা বাদ দিয়ে কোয়ান্টাম কম্পুউটিং-এর ধারণা গ্রহণ করতে হবে। তাদের ভাবতে হবে যে মশা দক্ষিনেও থাকতে পারে বা উত্তরেও থাকতে পারে। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময়ে এই মশা যে কোন স্থানে থাকতে পারে, যা অনেকটা কোয়ান্টাম কম্পুউটিং-এর মতন।
তাদের একই দিনে সব জায়গায় মশার ওষুধ ছিটাতে হবে, বা ফগিং করতে হবে। তাতে মশা যেখানেই থাকুক এই ওষুধের আওতায় পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এক দিনে অনেক জায়গায় ওষুধ দেয়া হয়ত একটি অপারেশন্যাল চ্যালেঞ্জ। তবে একটু ভালোভাবে প্লানিং করলে তা মনে হয় অস্বাভাবিক নয়।
ধরুন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঢাকা শহরের সব্বাইকে সাহায্য করতে হবে এক ঘন্টার জন্য। এই সময়ে কয়েক হাজার জায়গায় ভলান্টিয়াররা সাহায্য করবে সারা শহরের যত জায়গায় মশা থাকতে পারে সেখানে ওষুধ ছিটিয়ে, পরিস্কার করে। যার যার অফিস সে পরিস্কার করবেন। নিজে না পারলে অন্যকে পয়সা দিয়ে করাবেন। ঐ সময়ে সব্বাই জানালা দরজা খুলে ঘরের ভেতরের মশা তাড়াবেন, নিজ নিজ বাসার জমে থাকা পানি পরিস্কার করবেন। সবাই যদি একটু হাত লাগাই তবে পুরোপুরি সমাধান না হলেও কিঞ্চিত হলেও হয়ত উপকার হবে।
কিছুদিন পর কোরবানীর ঈদ আসছে। আমাদের শিশুরা, আমরা বাসার বাইরে অনেক সময় কাটাব। কোরবানীর আবর্জনা মশার রাজত্বকে হয়ত আরো বাড়িয়ে দেবে। তখন যেন মশা না বাড়ে সেজন্য এখন থেকেই সে জন্য প্রস্তুতি নিয়ে উচিত।
এটা শুধুই একটি ধারণা। এমন অজস্র ধারণা দেয়া যায়। ডেঙ্গু একটি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এটার জন্য সমালোচনা করে, হা হুতাশ না করে, অন্যকে দোষ না দিয়ে কিভাবে সবাই মিলে এর প্রতিকার করতে পারি সেটা ভাবলে মনে হয় ভালো হয়। আমাদের গায়ে মশা বসলে তো আমাদেরই রক্ত খাবে, মেয়রদের না। সমস্যা হলে আমাদেরই হবে, সমাধানও আমাদেরই বের করতে হবে।