আর চার দিন পরেই চাঁদের মাটিতে নামতে যাচ্ছে প্রতিবেশি দেশ ভারতের চন্দ্রযান-২। তার আগেই ‘চাঁদের মাটিতে’ ঘুরে বেড়ানোর একটি ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়ে গেছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি স্পেস সুট পরে চাঁদের মাটিতে হাঁটছেন। আলো, ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল এবং সারফেস দেখে বোঝার উপায় নেই আসলে কী হচ্ছে। কয়েক সেকেন্ড পর যখন একটা অটোরিক্সা বেরিয়ে যায় পাশ দিয়ে, তখন বোঝা যায় এটা আসলে ভারতের বেঙ্গালুরুর এক রাস্তার ছবি!
বাদল নানজুনদাস্বামী নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ৫৬ সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে প্রথমে দেখা যাচ্ছে, মহাকাশচারীদের মতো স্পেস সুট পরে এক ব্যক্তি অসমান জমির ওপর হেঁটে চলেছেন। উপর থেকে ধরা হয়েছে ক্যামেরা। প্রথম কয়েক সেকেন্ড দেখলে মনে হবে সত্যিই চাঁদের উপর হেঁটে বেড়াচ্ছেন কেউ। অভিকর্ষ বল কম থাকলে যেভাবে হাঁটতে হয় সেভাবেই হাঁটছেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তারপরেই ভুল ভাঙবে।
https://www.facebook.com/Techzoom.TV/videos/410266532961486/
কারণ কয়েক সেকেন্ডে পর দেখা যাবে ওই ব্যক্তির গায়ে গাড়ির লাল ইন্ডিকেটরের আলো পড়ছে। তখনই প্রাথমিক সন্দেহটা হবে। তারপরেই দেখা যাচ্ছে, পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায় একটি অটোরিক্সা, গাড়ি। ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল ঘুরতেই দেখা গেল গর্তে ভরা একটি রাস্তার উপর দিয়ে হাঁটছেন ওই ব্যক্তি। গর্ত বাঁচিয়ে পাশ দিয়ে চলেছে যানবাহন। চাঁদের বুকে মানুষ গেলেও অটোরিকশা চলার মতো বৈপ্লবিক ঘটনা এখনও ঘটেনি। আসলে বাদল নানজুনদাস্বামী অভিনব এই পদ্ধতিতে বেঙ্গালুরু প্রশাসনকে দেখাতে চেয়েছেন, শহরের রাস্তার বেহাল দশা।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বেঙ্গালুরু শহরের নানা জায়গার রাস্তায় এমন গর্ত তৈরি হয়েছে। যা মানুষের জন্য চরম ভোগান্তির। দেখলে মনে হবে যেন কোনো এবড়োখেবড়ো গ্রহের ভূমি। বাদল তার পোস্টে ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘হ্যালো বিবিএমপি কমিশনার’। বিবিএমপি হল ব্রুহাট বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা, শহরে রাস্তা ঘাটের দায়িত্বে আছে। তাদেরকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চেয়েছেন শহরের রাস্তার অবস্থা। এখনও পর্যন্ত ভিডিওটি ৪ লক্ষ ৬৫ হাজারের বেশি বার দেখা হয়েছে। শেয়ার হয়েছে ১৪ হাজারের বেশি। অংসংখ মানুষ বাদলের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।