সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এ ধরনের চেহারা তৈরি করা হচ্ছে। বাস্তবে এ ধরনের কোনো ব্যক্তির অস্তিত্ব নেই। বিশেষ করে সুদর্শন নারী-পুরুষ দেখলেই পটে যাবেন না। কারণ এসব ছবি আসল নয়; ফেক।
ফেসবুকে এখন চলছে ভুয়া ছবির কারবার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভুয়া ছবি। এ ধরনের ভুয়া চেহারার অ্যাকাউন্টগুলো ধরতে কাজ করছে ফেসবুক।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, অনেক চেষ্টার পরও ফেসবুকে ভুয়া ব্যক্তি অধরা থেকে যাচ্ছে না। গত শুক্রবার ফেসবুকে শত শত ভুয়া অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ বন্ধ করার কথা জানিয়েছে। ফেসবুকের অনেক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে ভুল তথ্য ও অসত্য ছবি ব্যবহার করে প্রতারিত করা হচ্ছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, তা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা।
অ্যাকাউন্ট নিয়ে যারা গবেষণা করেছেন, তারা বলছেন– কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে তৈরি করা অনেক ছবি ফেসবুকে ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আগামী বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো কীভাবে এ সমস্যা ঠেকাবে, তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।
ফেসবুকের ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলোতে যে প্রোফাইল পিকচার ব্যবহার করা হয়, তা মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। তবে ভালোভাবে খেয়াল করলে এসব ছবিতে কিছু খুঁত দেখতে পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, ফেসবুকে সব ছবি দেখেই এখন আর বিশ্বাস করবেন না। প্রতিটি ছবি ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে।
ফেসবুকে ‘ফেক’ চেহারা চেনার কৌশল-
১. ফেসবুকে কোনো অপরিচিত কারও কাছ থেকে বন্ধুত্বের অনুরোধ এলে তা যাচাই করে দেখুন।
২. যে ব্যক্তি বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠিয়েছে, তার ছবি কিনা তা ভালোভাবে খেয়াল করুন।
৩. যেহেতু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ছবি তৈরি করা হচ্ছে, তাই কারও চেহারা সুন্দর দেখে বিশ্বাস করবেন না।
৫. ছবিতে কোনো খুঁত দেখলে বা সন্দেহ হলে গুগলে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে অনুসন্ধান করে দেখতে পারেন।
৬. অনেক ভুয়া অ্যাকাউন্ট অনলাইন থেকে সুদর্শন কোনো পুরুষ বা নারীর ছবি নিয়ে তৈরি করা হয়। ভালোভাবে সার্চ দিলেই প্রকৃত বিষয়টি ধরতে পারবেন।