ঘুমালেন কপর্দকশূন্য হয়ে। ঘুম থেকেই দেখলেন আপনি লাখপতি। না কোনো দিবা স্বপ্ন নয় এটি। টিকটকের কল্যাণে এও সম্ভব।
টিকটকে সারারাত লাইভস্ট্রিমিং করছেন কয়েকশো টিকটক ইউজার। তাও আবার ঘুমন্ত অবস্থায়। ব্রিয়ান হেক্টর, ১৮ নামের এক ইউজার গত সপ্তাহে এমনই একটি ভিডিও করেন। এরপর সকালে উঠে দেখেন কয়েক হাজার মানুষ তার টিকটক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। একইসঙ্গে টিকটক মারফত কয়েন ডোনেট করেছে তাকে। হেক্টর জানিয়েছেন, “আমি সকালে উঠে লাইভ বন্ধ করি। এরপরই দেখি ৩৪৭,০০০ জন ফলোয়ার্স হয়ে গিয়েছে। ১০ ডলার কয়েন পেয়েছি”।
প্রসঙ্গত, টিকটক লাইভে একটি ফিচার রয়েছে, ডিজিটাল কয়েন। যত কয়েন পাবেন আপনি, সেই কয়েন আবার টাকায় পরিণত করা যাবে। ওসকার রিয়াস নামের এক ইউজারও টিকটকে লাইভ স্ট্রিমিং করে ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি ঘুম থেকে উঠে লাইভ বন্ধ করার পর দেখেন, ৬০০০ নতুন ফলোয়ার্স হয়েছে তার। কিন্তু পরবর্তী কালে লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্ত ফলোয়ার্স চলে যায়। ১৮,৬০০ থেকে ফলোয়ার্স পৌঁছে গিয়েছে ১২,০০০ জনে। ওসকার জানায়, “আমি জানিনা সঠিক, যারা নতুন এসেছিলেন তারা কি শুধুমাত্র ঘুমন্ত স্ট্রিমিং দেখার জন্যই আমাকে ফলো করেছিলেন!”
স্টিফেন নামের এক ইউজারও জানায় তার রাতের লাইভ স্ট্রিমিংয়ে প্রায় ১ মিলিয়ন লাইক পড়েছে। লাইভে যাওয়ার আগে, টিকটক স্লিপ- স্ট্রিমার্স মারফত কিছু প্রচার মূলক ভিডিও পোস্ট করতে হয় ফিডে। যেখানে উল্লেখ থাকে রাতে স্লিপ স্ট্রিম শুরু করতে চলেছে ইউজার। এরপরই, ফোনটিকে রেখে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিয়ে লাইভ বাটন প্রেস করে দেয়।
উল্লেখ্য, লাইভ চলার সময় যদি সেখানে কেউ চ্যাট করে কথোপকথন করে, লাইভ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তার কোনো অস্তিত্ব থাকে না। স্টিফেন মনে করছে, অনলাইন বন্ধুদের খোঁজার জন্যই এই সময় একাধিক ইউজার এসে জমায়েত হয়। যেহুতু কিছু সেভ থাকে না, তাই বোঝা মুশকিল ঠিক কী কথোপকথন হয়েছে।
রায়েস নামের এক ইউজার জানিয়েছেন, লাইভ স্ট্রিমিং চলাকালীন তার ঘুম ভেঙে যায়। তখন প্রায় ৬০০ জন চ্যাট করছিল। বেশ কয়েকজন কমেন্টে বলে ওঠেন, ‘সে কী কান্ড, উনি উঠে গিয়েছেন”। ইউজাররা নিজেদের মধ্যে গ্রুপ চ্যাট করছিল।
জয়ী ফে, ২৪ নামের এক ইউজার জানায়, “সারা রাত ড্রাইভ করছিলাম। সে সময় টিকটকে স্লিপ স্ট্রিমিং শুরু করি। সকালে লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করার পর দেখতে পাই ৫০ ডলার ডিজিটাল কয়েন পাঠিয়েছে আমাকে”।