পশ্চিমা বিশ্বে যেখানে অবাধ মেলামেশা আর হাতেহাত রেখে ঘুরে বেড়ানো অতি পরিচিত দৃশ্য সেখানে প্রেমিক যুগলের মাঝে দূরত্ব বাড়িয়েছে প্রাণঘাতি করোনা। ক্যাফে, রেস্তোরায় আর দেখা মেলেনা কপোত-কপোতীর। তবে অনুভূতির লাগামতো আর ধরে রাখা যায়না।
একারণে, আবেগ-ভালোবাসা ভাগাভাগির জন্য অনলাইন মাধ্যমকেই বেছে নিচ্ছে প্রেমিক যুগল। পশ্চিমা দেশগুলোয় কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের সংখ্যার সাথে-সাথে বাড়ছে ডেটিং অ্যাপের ব্যবহার, চলছে ভার্চুয়াল প্রেম।
ওকুপিড’র বিপণন কর্মকর্তা মেলিসা হোবলে বলেন, মহামারী ভাইরাসের আতঙ্কে কেউই ঘর ছেড়ে বের হতে সাহস পাচ্ছে না। তবে মানুষের সাথে মানুষের মেলামেশার স্বাভাবিক প্রবৃত্তিতো পরিবর্তন হয়নি। তাই অনলাইনের মাধ্যমে পরস্পরের আবেগ অনুভূতি ভাগাভাগি করছে।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায়, প্রিয় মানুষের সাথে দেখা হচ্ছে না সরাসরি। তবে ভিডিও চ্যাটিংয়ে, অনুভূতি প্রকাশের পাশাপাশি মানসিকভাবে কাছে এনেছে, ভালবাসার মানুষকেও।
তেমনি এক অ্যাপ ব্যবহারকারী জানান, সের্ফ মজা করার উদ্দেশ্যেই এই অ্যাপ ব্যবহার শুরু করি। কোয়ারেন্টাইনে আছি বলে সময় কাটানোই ছিল উদ্দেশ্য। তবে দেখছি এখানে বেশ ভালো বন্ধু পাওয়া যায়। আর এই মুহূর্তে বোধ হয় বিশ্বের সবার মনেই একটাই আতঙ্ক কাজ করছে। তাই পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল।
জরিপ প্রতিষ্ঠান সেন্সর টাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রসহ পুরো বিশ্বেই বেড়ে গেছে ডেটিং অ্যাপের ব্যবহার।
বিশেষ করে নিউইয়র্কের মতো বড় পশ্চিমা শহরে। শীর্ষস্থানীয় ডেটিং অ্যাপের সাইটগুলোয় বেড়েছে গ্রাহকের আনাগোনা। কোভিড নাইন্টিন পরিস্থিতির কারণে সচেতনতা তৈরির কাজও করছে এই সাইটগুলো।