টিকটক জ্বরে আক্রান্ত এখন প্রযুক্তির দুনিয়া। চীন-যুক্তরাষ্ট্র শীতল যুদ্ধে একটি অস্ত্র হয়ে উঠেছে ‘টিকটক’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর জন্যও খানিক মাথা ব্যথা এ কোম্পানি। তবে তাদের জনপ্রিয়তাই ঈর্ষান্বিত হয়ে হোক আর নতুন প্রযুক্তির সংযোজনের জন্য হোক নতুন আঙ্গিকে ইনস্টাগ্রামে ‘টিকটক’ যুক্ত করলো ফেসবুক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন টিকটকের মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রের কোন কোম্পানির হাতে দিতে চাইছেন অথবা তার দেশে টিকটক নিষিদ্ধ করতে চাইছেন তখনই ফেসবুক এমন টুলস চালু করলো। অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। ট্রাম্পের ভুয়া নিউজ প্রচারে কোনো বাধা না দেয়ায় সমালোচিত হয়ে আসছে ফেসবুক। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত হওয়ার অভিযোগও।
তবে বুধবার (৫ আগস্ট) নতুন চমক দেখালো নানা ইস্যুতে বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞাপন দাতারা মুখ ফিরিয়ে নেয়া এ প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্তত ৫০টি দেশে ভিডিও শেয়ারিংয়ের নতুন এই টুলস উন্মুক্ত করলো ফেসবুক। প্রাথমিক অবস্থায়ে এটি ফেসবুকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ইনস্টাগ্রামে পাওয়া যাচ্ছে।
গোটা বিশ্বে টিকটকের কারণে কিশোররা ’বখে’ যাচ্ছেন বলে সমালোচনা চলছে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় নিবরাপত্তার জন্য এটিকে হুমকি বলে আসছে। ঠিক এমন সময় মার্কিন প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট ‘টিকটক’ কিনে নেয়ার প্রস্তাব দিলো। তার ঠিক একদিন পর ফেসবুক এ নতুন ভিডিও শেয়ারিং টুলস বাজারে আনলো যা টিকটককে অস্তিত্ব সংকটে ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফেসবুক এই টুলসের নাম দিয়েছে ’রিলস’।
রিলস-এর কার্যক্রম টিকটকের মতোই। ব্যবহারকারীরা মোবাইলেই ধারণ করতে পারবেন ছোট দৈর্ঘের ভিডিও। তার পর বিশেষ ইফেক্ট যুক্ত করা যাবে। রয়েছে নানা রকমের ইমোজিও। যুক্ত করতে পারবেন পছন্দের মিউজিক বা সাউন্ড।
তবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় টিকটকের প্রধান নির্বাহী কেভিন মেয়অর বলেছেন, ‘রিলস একটি কপি পণ্য। টিকটককে কপি করে বানানো এই নতুন টুলস বাজার দখলে ব্যর্থ হবে।’
অন্যদিকে টিকটকের মতো করে এখনো ভিডিও আপলোডকারীদের জন্য টাকা আয়ের সুযোগ রাখেনি রিলস।