মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ জন খামারির জন্য ৫৬৮ কোটি টাকার প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এর মধ্যে চার লাখ উপকারভোগীর প্রণোদনাই পৌঁছে যাবে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের মাধ্যমে।
বুধবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়ান টেম্বন।
অনুষ্ঠানে কয়েকটি জেলা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সুবিধাভোগীরা নিজেদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে প্রাপ্ত প্রণোদনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দেশের মানুষের পুষ্টি নিশ্চিত করতে এবং বাংলাদেশের আমিষ উৎপাদনে সফলতা অব্যাহত রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। এর আওতায় করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত ডেইরী, সোনালী মুরগী, ব্রয়লার মুরগী, লেয়ার মুরগী ও হাঁস খামারিরা প্রণোদনার অর্থ পাচ্ছেন।
সরকার প্রদত্ত প্রণোদনা স্বচ্ছতা, দ্রুততা ও নিরাপত্তার সাথে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছেই সরাসরি পৌঁছে দিতেই বিকাশের মত নির্ভরযোগ্য আর্থিক সেবার মাধ্যমে সিংহভাগ অর্থ বিতরণ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। উল্লেখ্য, বিকাশ মাধ্যমিক স্তরের উপবৃত্তি, করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা, সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা, রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের প্রণোদনা ভাতাসহ নানান সরকারি ভাতা সফলতার সাথে বিতরণ করে যাচ্ছে।
উপকারভোগী খামারীরা সারাদেশব্যাপি বিকাশের বিস্তৃত নেটওর্য়াকের মাধ্যমে সহজেই, কোন বাড়তি খরচ ছাড়াই দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে যেকোন সময় প্রণোদনার অর্থ ক্যাশ আউট করে নিতে পারবেন।