শুক্রবার (২৬ মার্চ) থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জার ব্যবহার করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা। এমন অবস্থায় শনিবার (২৭ মার্চ) একটি বিবৃতি দিয়েছে সোশ্যাল এই মিডিয়া জায়ান্ট।
বর্তমানে দুদিনের বাংলাদেশ সফরে আছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার সফরের বিরোধিতা করে শুক্রবার (২৬ মার্চ) দেশের কিছু ইসলামপন্থি দল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে, যা পরবর্তীতে সহিংসতায় রূপ নেয়। সহিংসতা শুরু হবার কিছুক্ষণ পর থেকেই মূলত দেশের ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জার ব্যবহারকারীরা এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি ব্যবহার করতে পারছেন না।
এ প্রসঙ্গে ফেসবুক তাদের বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশে ফেসবুকের সেবাগুলো আপাতত সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করছি শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ সেবা পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে। করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য যখন কার্যকর যোগাযোগ প্রয়োজন। তখন বাংলাদেশে ফেসবুকের সেবা সীমিত করে দেওয়ার ঘটনায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
এদিকে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বাংলাদেশে ফেসবুক এবং মেসেঞ্জার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার তাদের কাছে কোনো মন্তব্য করেনি।