শেরপুরের কন্যা যোগ দিলেন ফেসবুকে। ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলার মেয়ে”জারিন ফাইরুজ মুন”। তিনি বর্তমানে কাজ করছেন বিশ্বের অন্যতম বড় ও সেরা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম “ফেসবুকে”।
জারিন ফাইরুজ মুনের ছোট থেকেই বেড়ে ওঠা শেরপুর শহরেই। শেরপুর শহরের গৌরিপুরে তার বাসা। ২০০৮ সালে শেরপুরের স্বনামধন্য “দিশা প্রিপারেটরি এন্ড হাই স্কুল” থেকে এস এস সি এবং ২০১০ সালে “শেরপুর সরকারি কলেজ” থেকে এইচ এস সি পাশ করেন।
এরপর তিনি ভর্তি হন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়( কুয়েটে)। সেখানে তিনি কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন। কুয়েটে পড়াশোনা অবস্থায় শ্রম ও মেধায়, খুব কম বয়সেই তিনি অনেক সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় টপার, পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক, পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক, পেয়েছেন কুয়েটে শিক্ষকতারও সুযোগ। এখানেই শেষ নয়, দেশের বাইরেও তিনি সাফল্য ধরে রেখেছেন।
পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের “স্টোনি ব্রুক ইউনিভার্সিটিতে” পি এইচ ডির সুযোগ। বর্তমানে তিনি সেখানে পিএইচডিরত আছেন।
এ বছর (২০২১)মার্চে তিনি ফেসবুক থেকে, ফেসবুকের সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ারিং টিমে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করার অফার পান।
গত সপ্তাহে তিনি ফেসবুকে ইন্টার্ন হিসেবে জয়েন করেছেনে এবং কাজ করছেন ফেসবুকের সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ারিং টিমে।
শেরপুর থেকে ফেসবুকে এ যাত্রা খুব সহজ ছিল না তার জন্য। অনেক পরিশ্রম, মেধা ও অধ্যবসায় কাজে লাগিয়ে তিনি আজ এ সাফল্য অর্জন করেছেন।
শেরপুরবাসী ও দেশের মানুষের জন্য এটা অনেক গৌরবের। হয়তো অনেকের কাছেই খবরগুলো অজানা যে, শেরপুর থেকে দেশে ও দেশের বাইরে অনেকেই অনেক ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানে, ভালো পজিশনে কাজ করে যাচ্ছেন।
মুন শেরপুর জেলা শহরের গৌরীপুর মহল্লার বাসিন্দা। গত মাসের (মে) শেষ দিকে প্রতিষ্ঠানটির সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ারিং টিমে ইন্টার্ন হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। তিন মাস পর তার নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
মুন ২০০৮ সালে শেরপুর শহরের দিশা প্রিপারেটরি অ্যান্ড হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস ও ২০১০ সালে শেরপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন মুন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায়ই মুন অনেক সাফল্য অর্জন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক, বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদকসহ নানা পদকে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন শেষে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগও পেয়েছেন তিনি। তবে যুক্তরাস্ট্রে পিএইচডির সুযোগ পেয়ে তিনি সেখানে পাড়ি জমান।
জারিন ফাইরোজ মুনের বড় ভাই ফাহাদ বিন সাঈদ পিয়াস জানান, বছরের শুরুর দিকে ফেসবুকের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর মার্চের শুরুতে তিন ধাপে মুনের ইন্টারভিউ নেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ইন্টারভিউয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর মে মাসের শেষের দিকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে।