বলা হয় ফেসবুকের কাছে সকল ব্যবহারকারাই সমান! কিন্তু আদতে তা নয়। সম্প্রতি ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ অভিযোগ করেছে, আসলে ব্যাপারটা মোটেই তা নয়। ফেসবুক তাদের নীতির ক্ষেত্রে অবশ্যই দ্বিমুখী। সাধারণ নাগরিক ও সেলেব- এই দুই ধরনের ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে ফেসবুকের।
এককথায় বলতে গেলে, সেলেব্রিটিদের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত অনেক নরম নিয়ম মেনে চলে ফেসবুক। অন্তত ৫৮ লক্ষ বিশিষ্ট ফেসবুক ব্যবহারকারীর ভিআইপি পাশ রয়েছে, যা দিয়ে নানা আইন ভেঙেও পার পেয়ে যান তারা।
উদাহরণস্বরূপ বলা হয়েছে, ব্রাজিলের ফুটবল তারকা নেইমারের কথা। ২০১৯ সালে তিনি একটি নগ্ন মহিলার ছবি পোস্ট করেছিলেন। ওই মহিলা নেইমারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। সাধারণত, এই ধরনের ছবি পোস্ট করলে তা সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে দেয় ফেসবুক। কিন্তু নেইমারের ক্ষেত্রে তা নয়। শেষ পর্যন্ত ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম মিলিয়ে ৫ কোটি ৬০ লক্ষ ব্যবহারকারী দেখেছিলেন ছবিটি।
ফেসবুক একটি প্রোগ্রাম ব্যবহার করে যার নাম ‘ক্রস চেক’ বা ‘এক্সচেক’। এই প্রোগ্রাম ফেসবুকের ভিআইপি অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম অনুসরণ করে। তাদের ক্ষেত্রে আদৌ কড়া হয় না জুকারবার্গের সংস্থা।
ওই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ফেসবুকে অন্তত ৫৮ লক্ষ হাই প্রোফাইল রয়েছে। তাদের সকলেরই ভিআইপি পাস থাকায় কার্যত নিয়মভঙ্গ করেও ছাড় পেয়ে যান তারা।
ফেসবুকের মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন বলেন, ‘ক্রস-চেক’ ব্যবহার করা হয় বহু পেজ ও প্রোফাইলের ক্ষেত্রেই। ওই সব অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে রিভিউ করার সময় দ্বিতীয় নজরদারি চালানো হয়। যাতে নিশ্চিত করা যায় ফেসবুক তাদের নীতির প্রয়োগে কোনও ভুল করছে না। অর্থাৎ হাই প্রোফাইলদের ক্ষেত্রে কোনও ভুল যাতে না হয়, তাই বাড়তি সতর্কতা।