জাগো ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জনপ্রিয় তাৎক্ষণিক যোগাযোগে অ্যাপ ইমো সম্প্রতি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে। রাজধানীর বনানী স্কুলের (কড়াইল) কার্যক্রম পরিচালনা করছে জাগো ফাউন্ডেশন। এ স্কুলে প্রায় সাড়ে ৫শ’ শিক্ষার্থী বিনামূল্যে শিক্ষাগ্রহণ করছে। তাদের মাঝে এ সামগ্রী বিতরন করা হয়।
দেশে বৈশ্বিক মহামারি আঘাত হানার পর শিক্ষাখাত ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। বিশেষ করে, প্রান্তিক আয়ের জনগোষ্ঠীর শিশুরা শিক্ষা সুবিধা থেকে পিছিয়ে পড়ছে। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকা সহ বৈশ্বিক মহামারি উদ্ভূত নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে দেশের ৩.৭ কোটি শিশুর ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে পড়ে। এমতাবস্থায়, সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইমো সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিতে এগিয়ে এসেছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণে শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্য দূর করতে এবং উন্নত বাংলাদেশে মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অ-লাভজনক উন্নয়ন সংস্থা জাগো ফাউন্ডেশনের সাথে অংশীদারিত্ব করেছে ইমো।
বনানী স্কুলের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আখতার রুমি এ উদ্যোগ নিয়ে বলেন, “আমার স্বপ্ন ছিলো ডাক্তার হওয়া। জাগো’র সহায়তার মাধ্যম আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। আজ ইমো আমাদের শিক্ষা সামগ্রী দিয়েছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। এসব স্টেশনারি সামগ্রী আমাদের শিক্ষাকে আরও উপভোগ্য ও কার্যকরী করবে।”
জাগো ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক করভী রাকসান্দ ধ্রুব বলেন, “বৈশ্বিক মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর থেকে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে রীতিমতো লড়াই করতে হচ্ছে; এই মুহূর্তে এ ধরনের উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, সত্যিকার অর্থেই এটি একটি ভালো পদক্ষেপ এবং এ ধরনের উদ্যোগ দেশের শিক্ষাখাতকে সঙ্কট মোকাবিলায় সহায়তা করবে। আমার বিশ্বাস, অন্যান্যরাও ইমো দ্বারা অনুপ্রাণিত হবে এবং মহৎ সব উদ্যোগ গ্রহণ করবে।”
সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ প্রতিষ্ঠান ইমো ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে ভবিষ্যতেও মহতী এমন সব উদ্যোগ গ্রহণ করবে। আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশের মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইমো। অনুষ্ঠানে ইমো ও জাগো ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা উপস্থিত ছিলেন।